কূটনৈতিকদের প্রতি অর্থনৈতিক ইস্যুকে গুরুত্ব দিতে প্রধানমন্ত্রীর আহবান

ইউরোপের বিভিন্ন দেশে নিযুক্ত বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূতদের রাজনৈতিক কূটনীতির পাশাপাশি অর্থনৈতিক কূটনীতিতে জোর দিতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শনিবার (২০ জুলাই) স্থানীয় সময় বিকেলে লন্ডনের একটি হোটেলে প্রথমবারের মতো আয়োজিত বাংলাদেশী রাষ্ট্রদূতদের সম্মেলনে যোগ দিয়ে এ আহ্বান জানান তিনি। ইউরোপের বিভিন্ন দেশে নিযুক্ত ১৫ জন রাষ্ট্রদূত, হাইকমিশনার এবং স্থায়ী প্রতিনিধি এই সম্মেলনে যোগ দেন। এর শিরোনাম হচ্ছে- ‘দূত (ইউরোপ) সম্মেলন’।

এ বিষয়ে পরে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম। তিনি জানান, রাষ্ট্রদূতদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আমাদের চলমান উন্নয়ন কর্মসূচি যাতে অব্যাহত থাকে, সেজন্য রাজনৈতিক কূটনীতির পাশাপাশি অর্থনৈতিক বিষয়ে আরো গুরুত্ব দিতে হবে।

বিভিন্ন দেশের সঙ্গে আরও গভীর, বিস্তৃত ও শক্তিশালী সম্পর্ক স্থাপনে কার্যকর ও সময়োপযোগী কর্মপরিকল্পনা নিতে রাষ্ট্রদূতদের নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী।

২০৪১ সালে উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে সরকার কাজ করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এরইমধ্যে জিডিপি ৮ দশমিক ১ শতাংশ অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি। ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে জিডিপির প্রবৃদ্ধি ৮ দশমিক ২ শতাংশ লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বাংলাদেশ এখন আর সাহায্য নির্ভর দেশ নয় উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ৫ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকার বাজেটের ৯০ শতাংশ অর্থ নিজস্ব অর্থায়ন থেকে আসবে। নির্বাচনে পরাজিত কয়েকটি চক্র চলমান উন্নয়ন ব্যাহত করতে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে প্রপাগান্ডা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেন প্রধানমন্ত্রী।

নির্বাচনে অর্থবহ অংশগ্রহণের পরিবর্তে বিএনপি গত নির্বাচনে মনোনয়ন বাণিজ্য করেছে বলেও অভিযোগ শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের মানুষ এখন আর প্রপাগান্ডায় বিশ্বাস করে না। আওয়ামী লীগ সরকারের নেতৃত্বে অর্জিত আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে জনগণের আস্থা রয়েছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন সম্মেলনে বক্তৃতা করেন। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান এবং পররাষ্ট্র সচিব মো. শহীদুল হক উপস্থিত ছিলেন।

আপনি আরও পড়তে পারেন