ডেঙ্গু ধরা পড়লে যা যা খেতে হবে

বর্তমান পরিস্থিতি এমন হয়ে দাড়িয়েছে যে, হাসপাতালে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যাই সব থেকে বেশি দেখা যাচ্ছে। যা বর্তমানে ভয়াবহ দুশ্চিন্তার ব্যাপার।

শত সতর্কতা অবলম্বন করার পরও কোথায়, কীভাবে যে মশা কামড়াচ্ছে তা বোঝাই দায়। কোনভাবেই যেন এ রোগ ঠেকানো সম্ভব হচ্ছে না। মশা নিধনের কাজটা বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় যেতে হচ্ছে। কিন্তু ডেঙ্গু হয়ে গেলে তখন তো তড়িৎ পরামর্শ চাই।

ডেঙ্গু হলে রক্তে অনুচক্রিকার সংখ্যা কমে যায়। সেই সঙ্গেই ডায়রিয়ার কারণে ডিহাইড্রেশন হয়। এই রোগে শরীরে প্রচুর পানির প্রয়োজন। ডেঙ্গু হলে তাই শিশু, প্রাপ্তবয়স্ক সকলেরই ডায়েটে প্রচুর পরিমাণ পানি বা তরল খাবার রাখা প্রয়োজন। জেনে নিন কী কী তরল খাবার রাখবেন খাদ্যতালিকায় :

শুধু যে ডায়রিয়া হলে ডিহাইড্রেশন হয় এমনটি নয়। ডেঙ্গু জ্বর হলেও ডিহাইড্রেশনের মাত্রা বাড়তে পারে। তাই জ্বর হলে পর্যাপ্ত পরিমান পানি পান করতেই হবে।

সাধারমত বমি বমি ভাব থাকলে বাচ্চারা পানি খেতে চায় না। সে ক্ষেত্রে ওদের অল্প অল্প করে বারে বারে পানি খাওয়াতে হবে।

পানির পাশাপাশি লেবুর শরবত, টাটকা ফলের রস, স্যুপ, হাল্কা লিকার চা, ডাবের পানি সহ পর্যাপ্ত লিকুইড ডায়েট প্রয়োজন।

বাড়িতে রান্না করা টাটকা ও হালকা সব রকমের খাবারই খাওয়া খেতে হবে।

প্রত্যেকবার খাবারের সাথে পানি বা শরবত অর্থাৎ তরল জাতীয় খাদ্য খেতে হবে।

পানি পানের ব্যাপারে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার একটা নির্দেশিকা রয়েছে। শরীরের প্রতিকেজি ওজন পিছু একজন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর প্রত্যেক ঘণ্টায় ৭ মিলিলিটার লিকুইড গ্রহণ করা উচিত।

এই নির্দেশিকা অনুযায়ী একজন ২০ কেজি ওজনের বাচ্চার প্রত্যেক ঘণ্টায় ন্যূনতম ১৪০ মিলিলিটার পানি বা জলীয় খাবার খেতে হবে।

৫০ কেজি ওজনের প্রাপ্তবয়স্কের মানুষের ৩৫০ মিলিলিটার পানি, শরবত বা স্যুপ খাওয়া জরুরি।

আপনি আরও পড়তে পারেন