আমরা কোথায় যাবো একদিকে সমুদ্র, আরেক দিকে শয়তান: রিজভী

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, আমাদের আশ্রয়ের জায়গা নেই, আমরা কোথায় যাব? রাস্তায় দাঁড়ালে ছাত্রলীগ-যুবলীগ, গলিতে গেলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

এ অবস্থায় আমাদের যাওয়ার জায়গা কোথায়? একটা উপন্যাসে পড়েছিলাম, এক দিকে সমুদ্র, আরেক দিকে শয়তান, যাবে কোথায়? দেশে ঠিক সে রকম পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।

আজ শনিবার সকালে নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতনতা ও খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় উচ্চ আদালতে খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন খারিজের প্রসঙ্গ টেনে রুহুল কবির রিজভী বলেন, সবার আশা-ভরসার স্থল হচ্ছে উচ্চ আদালত। সেই আদালতের রায়ে গোটা জাতি হতবাক হয়েছে, হতাশ হয়েছে।

আমাদের আশ্রয়ের জায়গা কোথায়? এ অবস্থা থেকে উত্তরণে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে মুক্তিযোদ্ধাদের সোচ্চার হওয়ার আহবান জানান রিজভী।

তিনি বলেন, প্রশাসনের মতো বিচার বিভাগকেও সরকার দলীয়করণ করেছে। বর্তমান সরকার অনির্বাচিত বলেই জনগণের প্রতি তাদের কোনো দায়বদ্ধতা নেই। তিনি বলেন, ডেঙ্গু হচ্ছে, কিন্তু এটা মোকাবিলার খবর নাই।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী তার স্ত্রীকে নিয়ে গিয়েছিলেন মালয়েশিয়ায়। নিজেরা বাঁচবেন, জনগণ মরুক ডেঙ্গুতে, বন্যায় ভেসে যাক, জলোচ্ছাসে ভেসে যাক- কোনো পরোয়া নেই সরকারের।

কারণ তারা তো দিনের আলোয় ভোটে নির্বাচিত নয়, তাদেরকে রাতের অন্ধকারের নির্বাচনে জিততে হয়। এই ধরণের সরকার জনগণের প্রতি দায়িত্ব থাকবে কেন, জবাবদিহিতা থাকবে কেন? থাকতে পারে না।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব বলেন, সরকার দেশের সাধারণ জনগণকে পদে পদে মৃত্যুর ফাঁদে ঠেলে দিয়েছে। জনগণ আজ বন্যা, সড়ক দুর্ঘটনা, ভেজাল খাদ্য, বিনা কারণে গণপিটুনি, আগুনে পুড়ে, প্রকাশ্যে জবাই, ধর্ষণের পর হত্যা এবং ক্রসফায়ারে গুলি খেয়ে মৃত্যুসহ নানা মৃত্যুফাঁদে নিপতিত।

তিনি বলেন, একটা স্বাধীন রাষ্ট্রের জনগণের বেঁচে থাকার অধিকারসহ ন্যূনতম নাগরিক অধিকারটুকুও কেড়ে নিয়েছে সরকার। ‘মনে হচ্ছে, আমরা এক ব্যক্তির ইচ্ছা-অনিচ্ছার
স্বেচ্ছাচারী জনপদে বসবাস করছি। যেখানে কারো কথা বলার স্বাধীনতা নেই, সরকারের সমালোচনা করার অধিকার নেই, গুম কিংবা বিচারবহির্ভূত হত্যা নিত্যদিনের ঘটনা।’

আপনি আরও পড়তে পারেন