জুমার দিনে যে দোয়া পড়লে ৮০ বছরের গুনাহ মাফ

অন্যান্য দিনের তুলনায় পবিত্র জুমার দিনের আমলে মহান আল্লাহ রাব্বলি আলামিন বিশেষ কিছু সওয়াব নিহিত করেছেন। এসব বিশেষ আমলের মাঝে রয়েছে আল্লাহর পক্ষ থেকে গুণাহ মাফ ও বিভিন্ন নফল ইবাদতের সুযোগ।

তবে গুনাহ মাফসহ সকল নফল ইবাদত কবুল করার মালিক একমাত্র আল্লাহ তায়ালা। তাই তার সৃষ্ট বান্দা হিসেবে একচিত্তে আমাদেরকে এক আল্লাহরই ইবাদতে মশগুল হতে হয়।

জুমার দিনের একটি গুরুত্বপূর্ণ আমল সম্পর্কে হজরত আবু হুরাইরা (রা.) হতে বর্ণিত: রাসূল পাক (সা.) ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি জুমার দিন আসরের নামাজের পর না উঠে ওই স্থানে বসা অবস্থায় ৮০ বার নিম্নে উল্লেখিত দরুদ শরীফ পাঠ করবে, তার ৮০ বছরের গুনাহ মাফ হবে এবং ৮০ বছরের নফল ইবাদতের সওয়াব তার আমল নামায় লেখা হবে।

দোয়াটি হলো :
‘আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা মুহাম্মাদিনিন নাবিয়্যিল উম্মিয়্যি ওয়া আলা আলিহি ওয়াসাল্লিম তাসলিমা’।

জুমার দিনের আরো কিছু আমলের মধ্যে রয়েছে, সূরা কাহাফ তিলাওয়াত করা: জুমার দিনে সূরা কাহ্ফ তিলাওয়াত করলে কিয়ামতের দিন আকাশতুল্য একটি নূর প্রকাশ পাবে। বেশি বেশি দরুদ শরীফ পাঠ করা এবং বেশি বেশি যিকির করা মুস্তাহাব।

আল্লাহতায়ালা নিজেই তার বান্দাদের নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রতি দরুদ ও সালাম পাঠানোর জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। অন্যদিকে নবী করিম (সা.) বলেছেন, ‘সবচেয়ে ওই ব্যক্তি কৃপন, যে আমার নাম শুনেও দরুদ পড়েনি।’

নবী করিম (সা.)-এর ওপর দরুদ পড়া আমাদের কর্তব্য। দরুদ পড়লে আমাদেরই লাভ। একবার দরুদ পড়ার জন্য ১০টি রহমত আল্লাহতায়ালা দেবেন। এর মধ্যে শুক্রবারে দরুদ পাঠের রয়েছে আরও বেশি ফজিলত। নিচে এ সংক্রান্ত কয়েকটি হাদিস তুলে ধরা হলো-

হজরত আবু উমামা রাযিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত হজরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসসাল্লাম ইরশাদ করেন, ‘আমার ওপর জুমার দিন বেশি বেশি দরুদ পাঠ করো। কারণ আমার উম্মতের দরুদ জুমার দিন আমার কাছে পৌঁছানো হয়। যে ব্যক্তি আমার ওপর সবচেয়ে বেশি দরুদ পাঠাবে সে ব্যক্তি কেয়ামতের দিন সবচেয়ে আমার নিকটতম হবে।’ -তারগিব : ১৫৭

হজরত আনাস রাযিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, হজরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, ‘তোমরা জুমার দিনে বেশি বেশি দরুদ পাঠ করো। কারণ জিবরাঈল আলাইহিস সালাম এইমাত্র আল্লাহতায়ালার বাণী নিয়ে হাজির হলেন।

আল্লাহতায়ালা ইরশাদ করেন, পৃথিবীতে যখন কোনো মুসলমান আপনার ওপর একবার দরুদ পাঠ করে আমি তার ওপর দশবার রহমত নাজিল করি এবং আমার সব ফেরেশতা তার জন্য দশবার ইস্তেগফার করে।’ -তারগিব : ৩/২৯৯

আপনি আরও পড়তে পারেন