আলমডাঙ্গায় পিতা-মাতাকে বেঁধে ষষ্ঠ শ্রেনীর মাদ্রাসা ছাত্রীকে ধর্ষন। 

মামুন মোল্লা,চুয়াডাঙ্গা (১৮/৮/১৯)
চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার নতিডাঙ্গার গুচ্ছ পাড়ার আবাসনের বাড়িতে জোর পূর্বক ঢুকে এক মাদ্রাসা ছাত্রীকে গনধর্ষনের ঘটনা ঘটেছে।এমনটাই অভিযোগ ভুক্তভোগী পরিবারের।
জানা গেছে,শনিবার রাত ১২ টার দিকে মাদ্রাসা ছাত্রীর ঘরে জোর পূর্বক ঢুকে তার মা-বাবা মারধর করে দড়ি দিয়ে হাত-পা বেঁধে ফেলে। এবং পরবর্তীতে ওই মাদ্রাসা ছাত্রীকে মারধর করে পালাক্রমে গনধর্ষন করে  আবাসনের কয়েকজন দূবৃর্ত্তরা। ধর্ষন শেষে তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে পালিয়ে যায়।  পরবর্তীতে তাকে সেখান থেকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী পরিবার   জানায় তাদের মেয়েকে আবাসনে বসবাসকারী নতিডাঙ্গা গ্রামের জয়নালের ছেলে লাল্টু (৩৫), মৃত সভা ঘোরামীর ছেলে শরীফুল ইসলাম (৪০) ও মিলনের ছেলে রাজু (৩০)  জোর পূর্বক ধর্ষন করে। এবং মাদ্রাসা ছাত্রীকে রক্তাক্ত করে পালিয়ে যায়। পরিবার সুত্র জানায়, তাদের মেয়েকে প্রায়ই কু-প্রস্তাব দিতো প্রতিবেশী লাল্টু। তার কুপ্রস্তাবের কথা পরিবারকে জানিয়ে দেয় মাদ্রাসা ছাত্রী। তারপর পরিবারের পক্ষ থেকে মেয়েটির নিরাপত্তার জন্য  লাল্টুকে আসামী করে মামলা করা হয়। অতপর লাল্টু মামলা তুলে নিতে বিভিন্ন ভাবে হুমকি ধামকী দিতে থাকে। মামলা না তুলে নিলে সে তার মেয়েকে প্রকাশ্য দিবালোকে    ধর্ষন করবে বলেও হুমকী প্রদান করে। অতপর শনিবার রাতে সুযোগ বুঝে তাদের ঘরে ঢুকে তাদের মাদ্রাসা পড়ুয়া মেয়েকে তুলে নিয়ে বাঁশ বাগানে নিয়ে গিয়ে ধর্ষন করে।
এ ঘটনায় নির্যাতিত মাদ্রাসাছাত্রীর বাবা আলমডাঙ্গা থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করে।  আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ  মামলার প্রধান আসামি লাল্টুকে গ্রেফতার করে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, আলমডাঙ্গা উপজেলার নতিডাঙ্গা আবাসনের বাসিন্দা ওই মাদ্রাসা ছাত্রীকে গত ১ মাস আগে ধর্ষণের চেষ্টা চালায় অভিযুক্তরা। এ ঘটনায় ভিকটিম মাদ্রাসাছাত্রীর মা শীলা খাতুন বাদি হয়ে চুয়াডাঙ্গা আদালতে একটি ধর্ষণ চেষ্টা মামলা দায়ের করেন।
মাদ্রাসাছাত্রীর মায়ের অভিযোগ, মামলা তুলে নেওয়ার জন্য প্রায়ই নানভাবে হুমকি দিতো আসামিরা। গত তিন দিন আগেও হুমকি দিয়ে বলা হয় মামলা তুলে না নিলে তোর মেয়েকে ধর্ষণ করা হবে।
মাদ্রাসা ছাত্রীর বাবা জানান, রোববার ছিল ওই মামলার স্বাক্ষ্যগ্রহণের ধার্যদিন। ঠিক এর আগের দিন শনিবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে লাল্টু, রাজু ও শরফিুল লাঠিসোটা নিয়ে আমার ঘরে প্রবেশ করে আমাদেরকে মারপিট শুরু করে। এক পর্যায়ে আমাদের দুই জনকে হাত-পা বেঁধে আমার মেয়ে তুলে নিয়ে যায়। এরপর তাকে গ্রামের মাথাভাঙ্গা নদীর তীরে একটি শ্বশান ঘাটের কাছে বাঁশ বাগানে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। পরে স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় আমরা ভোরের দিকে মেয়েকে উদ্ধার করি।
এ বিষয়ে আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ আসাদুজ্জামান মুন্সি জানান, গনধর্ষনে যারা জড়িত তাদের ইতোমধ্যেই গ্রেফতারের প্রক্রিয়া চলছে এবং বিষয়টি অবহিত হওয়ার পর আমরা দ্রুত মাদ্রাসাছাত্রীকে উদ্ধার করে মেডিক্যালের জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে পাঠায়। একই সাথে এ ঘটনায় নির্যাতিত মাদ্রাসা ছাত্রীর বাবার মামলা দায়ের করার পর আমরা অভিযান চালিয়ে মামলার প্রধান আসামি লাল্টুকে গ্রেফতার করি।

আপনি আরও পড়তে পারেন