প্রেমের টানে শরীয়তপুরে ইন্দোনেশিয়ার তরুণী, অতঃপর…

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পরিচয়। পরে তাদের মধ্যে গড়ে ওঠে বন্ধুত্ব। এই সম্পর্ক এক সময় প্রেমে রূপ নেয়। এই প্রেমের টানে বাংলাদেশে ছুটে এসেছেন মারদিয়ানা নামের ইন্দোনেশিয়ার এক তরুণী।

মারদিয়ানা ইন্দোনেশিয়ার পালু বোরাদ এলাকার কাহারুদ্দিন ও মোলি দম্পতির মেয়ে। তিনি সেদেশে একটি কোম্পানিতে চাকরি করেন।

যার টানে শরীয়তপুরে ছুটে এসেছেন ওই তরুণী তার নাম- কাজী আহমাদুল হোসেন রাজন। তিনি মাদারীপুর সদর উপজেলার দুধখালী ইউনিয়নের চন্ডিবদ্দি গ্রামের কাজী এটিএম দাউদের ছেলে।

জানা গেছে, মারদিয়ানার সঙ্গে ২০১৩ সালে ফেসবুকে পরিচয় হয় শরীয়তপুরের নড়িয়া পৌরসভার লোনসিং গ্রামের মো. সেলিম খালাসীর সঙ্গে। পরে তাদের মধ্যে ভাইবোনের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরই মধ্যে ২০১৬ সালে রাজনের সঙ্গে প্রথমে ফেসবুকে পরিচয় থেকে বন্ধুত্ব হয় মারদিয়ানার। বন্ধুত্ব থেকে এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। আর সেই টানেই বাঙালি তরুণের কাছে ছুটে আসেন মারদিয়ানা।

এর পর গত ৩০ এপ্রিল ঢাকা কোতোয়ালি কোর্ট হাউস স্ট্রিট বার ভবনে মারদিয়ানা-রাজনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর এক সপ্তাহ থেকে ইন্দোনেশিয়া চলে যান মারদিয়ানা। আবার গত বৃহস্পতিবার শরীয়তপুর ফেরেন।

গতকাল শুক্রবার সেলিমের বাড়িতে জাকজমকপূর্ণ সামাজিক অনুষ্ঠানের পর রাজনের বাড়িতে তুলে নেওয়া হয় মারদিয়ানাকে।

এ ব্যাপারে নড়িয়া পৌরসভার মেয়র শহীদুল ইসলাম বাবু রাঢ়ি বলেন, প্রেমের টানে সুদূর ইন্দোনেশিয়া থেকে বাংলাদেশে চলে আসাই প্রমাণ করে তাদের ভালেবাসার গভীরতা। ইসলামী শরীয়া মোতাবেক বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। এমন বিয়ের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে নিজেকে ধন্য মনে হচ্ছে।

আপনি আরও পড়তে পারেন