চাকরি হারাচ্ছেন ডিসি, জ্ঞান হারালেন সাধনা

নারী অফিস সহকারীর সঙ্গে যৌন কেলেঙ্কারির ঘটনায় সদ্য ওএসডি হওয়া জামালপুরের ডিসি আহমেদ কবীরের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে তিনি চাকরিচ্যুতও হতে পারেন বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম। দুজনের অশ্লীল ভিডিওটি ভাইরালের পর ডিসির বিরুদ্ধে একের পর ব্যবস্থা নেওয়ার ঘটনায় জ্ঞান হারিয়েছেন তার যৌনসঙ্গী ও অফিস সহকারী সানজিদা ইয়াসমিন সাধনা।

তিনি আজ সোমবার সকালে ডিসি কার্যালয়ে এসে অজ্ঞান হয়ে পড়েন। এসময় তার হাতে একটি ছুটির আবেদনপত্র দেখা গেছে। আবেদনে অফিস চলাকালীন অসুস্থ বোধ করায় আগামীকাল ২৭ আগস্ট থেকে ৩ দিনের ছুটির কথা উল্লেখ করেন তিনি। জ্ঞান ফেরার পর কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই দ্রুত জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ত্যাগ করেন তিনি।

আপত্তিকর ভিডিওর বিষয়ে জানতে চাইলে সাধনা সাংবাদিকদের বলেন, এসব কিভাবে হলো আমি কিছুই জানি না। আমি বাঁচতে চাই, আমার সন্তানের জন্য আমাকে বাঁচান।

যারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত তাদের বিচার চান কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে সাধনা বলেন, আমি বিচার চাই তবে স্যারের কোনো দোষ নাই।

সোমবার (২৬ আগস্ট) সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকের বিষয়ে প্রেস ব্রিফিংকালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, যদি তদন্তে (অভিযোগ) প্রমাণিত না হয় তবে কাউকে শাস্তি দেয়া কঠিন। আমরা এজন্য কমিটি করেছি। নিরপেক্ষভাবে কমিটি এটা দেখবে। যদি দোষী সাব্যস্ত হয় তবে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

কী ধরনের শাস্তি হতে পারে এমন প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, ডিসিপ্লিন অ্যান্ড আপিল রুল যেটা- সেখানে ডিসমিসাল হতে পারে চাকরি থেকে (চাকরিচ্যুতি), বিমুভাল হতে পারে অথবা নিচের পদে নামিয়ে দেয়া হতে পারে। গুরুদণ্ড হতে পারে।

গঠিত কমিটির তদন্তের ভিত্তিতে আহমেদ কবীরের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হবে বলেও জানান সচিব।

বৃহস্পতিবার রাতে আপত্তিকর ভিডিও প্রকাশের পর রোববার বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করা হয় জামালপুরের ডিসি আহমেদ কবীরকে। একই সঙ্গে ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। কমিটির আহ্বায়ক মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের যুগ্মসচিব (জেলা ও মাঠ প্রশাসন অধিশাখা) মুশফিকুর রহমান।

 

আপনি আরও পড়তে পারেন