দোহারের মাহমুদপুর ইউনিয়নে বিজ্ঞ আদালতে মামলা চলমান থাকা অবস্থায় জমি দখলের চেষ্টা

 

নিজস্ব প্রতিবেদক:

গত শনিবার ঢাকা দোহার উপজেলায মাহমুদপুর ইউনিয়নের নারায়নপুর গ্রামে বিজ্ঞ আদালতের মামলা চলমান থাকা অবস্থায় মৌখিকভাবে জমি দখলের অভিযোগ জমি উঠেছে স্থানীয় আওয়ামী সাংসকৃতিক ফোরাম(আসাফো)’র সাংগঠনিক সম্পাদক মো: শাহজাহান ও ইউনিয়ন যুবলীগের নেতা বিরোদ্ধে । অভিযোগের ভিত্তিতে দৈনিক আগামীর সময়ের ৩ সদস্যের অনুসন্ধনী দল ঘটনাস্থলে গিয়ে এর সত্যতা প্রমান পান। সাংবাদিকদের উপস্থিতি টের পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন ১২ থেকে ১৫ জনের একটি দখল বাজের দল । এই ঘটনায় মামলার বাদী রতন ভূইয়া (৪০) গং বলেন, আমরা দীর্ঘ ৬ যুগ ধরে নিজস্ব পৈত্তিক জমির সাথে ২৪ শতাংশ সরকারি জমি ভোগ দখল অবস্থায় শান্তিপূর্ণ বসবাস করে আসছিলাম । কিন্তুু বিগত ৬ মাস পূর্বে থেকে ২৪ শতাংশ ভূমি নিয়ে বিরোধ সৃস্টি হয় প্রতিবেশী রমজান খান (৭০) এর সঙ্গে । ধীরে ধীরে রমজান খান গং আমাদের জমি দখল করার চেষ্টা চালায় , আমরা বাধা প্রদান করিলে আমাদের মারধর করার চেষ্টা করে । আমরা ভয়ে বিষয়টি গ্রামের আওয়ামীলীগ নেতা আইয়ুব আলীর বাড়িতে যাই । তাকে বিষয়টি অবগত করি, যেখানে আমাদের পূর্ব পুরুষগনদের কবর রয়েছে সেখানে তারা কি করে জমির মালিক দাবি করেন । এবং সেখানে নতুন করে আমি ২৫ শা বন্ধের আমার একটি ট্রিন সেট ঘর বাধাহীনভাবে ¯থাপন করি । দু:খ জনক হলেও সত্যি যে, বিরোধকৃত জমিতে কোন প্রকার সমাধান দিতে পারেনি সালীশগন । পরর্বতীতে ১০/০৭-১৯ ইং তারিখে বিজ্ঞ আদালতে একটি দেওয়ানি মোকাদ্দমা করি ।মামলা একনো চলমান রয়েছে । কিন্তুু মামলা অপেক্ষা করে স্থানীয় সন্ত্রাস ভাড়া করে জোরপূর্বকভাবে আমার ভোগ দখলকৃত জমি দখল করে নিচ্ছেন প্রতিপক্ষ রমজান খান গং। এই ঘটনায় প্রশাসনের নিকট গেলে তাদের পক্ষ থেকে শান্তনা বাণী ছাড়া আর কিছুই জুটেনি পরিবারটির । অসহায় পরিবারটি এখন আতংকে দিন কাটাচ্ছে । যদি স্থানীয় প্রশাসন এব্যাপারে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহন না করেন, তাহলে যেকোন সময় ঘটে যেতে পারে বড় ধরনের দূরর্ঘটনা । অপরদিকে রহমান গং জানান ,আমাদের বিরোদ্ধে যে অভিযোগ করেছেন তা মিথ্যা ও প্রতিহিংসা মূলক । আমরা তার জমি দখল করি নাই । আমাদের জমিতে আমরা কাজ করতে গেলে রতন গংরা আমাদের বাধা প্রদান করেন । সরকারি ভূমি আইন অনুযায়ী সকল প্রকার বৈধ কাগজ আমার কাছে রয়েছে । প্রতিবছর সরকার ভূমিহীনদের বন্দবস্তর করে থাকেন । এর ধারাবাহিকততায় ৪৮ শতাংশ জমি আমাদের নামে বন্দবস্ত হয় ।ফলে আমি সেই জায়গায় কাজ করতে গেলে প্রায় বাধা প্রদান করেন প্রতিপক্ষ রতন ভূইয়া গংরা। বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার গ্রামে বসা হয়েছিল ,কিন্তু কোন প্রকার সমাধান দিতে পারেনি সালীশগন । স্থানীয়সূত্রেজানাযায়, উভয় পরিবারের মাঝে ১৬ কাঠা জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে প্রায় ৬ মাস ধরে । কিন্তুু পূর্বে এমনটি বিরোধ এলাকায় কারো চোখে পরে নাই ।উল্লেখ্যযে পূর্বে থেকে রতন গংরা জমিটি ভোগ দখল করে আসছিল । এখন শুনি এই জমি রহমান গংরা সরকারিভাবে অনুমোদন নিয়েছে । গত রমজানের ঈদের পরে বিষয়টি সবার নজরে আসেন । তাদের বিরোধ নিস্পত্তির জন্য গ্রামে একাধিকবার বসেছিল উভয় পক্ষ ,কিন্তু কোন এক অজানা কারনে তাদের মাঝে সমাধান হয়নি । যেহেতু নালিশী জমি সরকারি সম্পত্তি। সরকার যাকে এই জমি বৈধ অনুমোদন দিবে তিনিই এই জমির মালিক হবে । অযথায় বিরোধ করলে উভয়ই ক্ষতি সাধন হতে পারে । গ্রামবাসী প্রশাসনের দ্রুত হস্তক্ষেপ দাবি জানান । কেননা তাদের এই বিরোধে কারনে গ্রামে অনেক সাধারন মানুষের ক্ষতি সাধন হতে পারে । এই ঘটনায় চরমাহাম্মদপুর পুলিশ ফাড়ি ইনচার্জ মোজাম্মেল হক দৈনিক আগামীর সময়কে বলেন, এ ব্যাপারে উভয় পক্ষ আমার কাছে অভিযোগ করেন । অভিযোগের ভিত্তিতে আমি খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করে এবং উভয় পক্ষকে শান্তি শৃংখলা বজায় রাখতে তাদের নির্দেশ প্রদান করি । বর্তমানে বিষয়টি তদন্ত চলমান রয়েছে।

আপনি আরও পড়তে পারেন