বন্ধুকে আটকে রেখে নারী পোশাক শ্রমিককে গণধর্ষণ, গ্রেপ্তার ৪

সাভারে বন্ধুকে আটকে রেখে এক নারী পোশাক শ্রমিককে গণধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ শনিবার ভোররাতে পৌর এলাকার নামা গেন্ডা মহল্লায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে সাভার মডেল থানা পুলিশ।

এ ঘটনায় আটককৃত চার ধর্ষকের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের পর দুপুরে তাদের আদালতে পাঠানো হয়। এদিকে ভুক্তভোগী ওই নারী শ্রমিককে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- মানিকগঞ্জ জেলার শিবালয় থানার জাফরগঞ্জ গ্রামের তোতা মিয়ার ছেলে শাওন ওরফে মেম্বার (১৭), নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ থানাধীন কুতুবপুর গ্রামের মোখলেছুর রহমানের ছেলে মো. সুমন (৩২), শরীয়তপুর জেলার ডামুড্যা থানাধীন বড়িরহাট গ্রামের সেলিম ফরাজির ছেলে ইলিয়াস ফরাজী (১৮) এবং নওগাঁ জেলার পত্নিতলা থানা এলাকার গবরচাপা গ্রামের মৃত কামাল উদ্দিনের ছেলে মো. আরিফ (৩০)। তারা সবাই সাভার পৌর নামা গেন্ডা এলাকার অস্থায়ী বাসিন্দা।

পুলিশ জানায়, ধর্ষণের শিকার ওই নারী পৌর এলাকার নামা গেন্ডা এলাকার একটি বাড়িতে ভাড়া থেকে পাশ্ববর্তী উলাইল এলাকায় আল মুসলিম গার্মেন্টেসে অপারেটরের কাজ করতেন। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় কারখানা ছুটির পর আলামিন নামের এক বন্ধুর সঙ্গে বাসায় ফিরছিলেন তিনি। এসময় নামা গেন্ডা এলাকার শাওন, ইলিয়াস, আরিফ ও সুমন নামের চার বখাটে তাদের গতিরোধ করে একটি নির্জন স্থানে নিয়ে যায়। পরে তারা আলামিনকে ভয়ভীতি ও মারধর করে আটকে রেখে ওই নারী শ্রমিককে দলবদ্ধভাবে ধর্ষণ করেন।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ওই নারী রাতেই সাভার মডেল থানায় ধর্ষণের বিষয়টি উল্লেখ করে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পরে পুলিশ গেন্ডা এলাকায় অভিযান চালিয়ে আজ ভোররাতে চার ধর্ষককে আটক করেন। পরে ধর্ষণ মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে দুপুরে তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সাভার মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএফএম সায়েদ বলেন, অভিযুক্ত ধর্ষকদের গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানোর পাশাপাশি ভুক্তভোগী নারী শ্রমিককে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠানো হয়েছে।

আপনি আরও পড়তে পারেন