বরিশালে শিশুকে যৌন নিপীড়ন, গ্রেফতার ১

বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালের কোয়াটারে ৬ বছরের এক শিশু যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছে। এই ঘটনায় হাসপাতালের চতুর্থ শ্রেণির এক কর্মচারীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।

অভিযুক্ত নয়ন ফকির নয়া (৫০) নামে ওই কর্মচারীকে গ্রেফতারের বিষয়টি শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) সকালে আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলন করে স্বীকার করেছে। সে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী বলে জানা গেছে।

এর আগে শুক্রবার রাতে সাদা পোশাকধারী ক’জন ব্যক্তি এসে নিজেদের র‌্যাব পরিচয় দিয়ে মেডিকেলের সামনে বান্দ রোডস্থ কোয়াটার থেকে নয়নকে তুলে নিয়ে যায়। ওই রাতে নয়নের স্বজনেরা থানা পুলিশ ও র‌্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন ইউনিটের সাথে যোগাযোগ করেও তার সন্ধান পায়নি। এছাড়া র‌্যাবের পক্ষ থেকে তাকে তুলে নেওয়ার বিষয়টি পুরোপুরি অস্বীকার করায় নয়নের পরিবার উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে। পরে শনিবার সকালে আনুষ্ঠানিক সংবাদ সংম্মেলন করে র‌্যাবের পক্ষ থেকে জানানো হয় শিশু ধর্ষণের অভিযোগ শুক্রবার রাতে নয়নকে তারাই নিয়ে আসে।

সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাব জানায়- হাসপাতালে চতুর্থ শ্রেণির কোয়াটারে পরিবারের সাথে বসবাসরত ৬ বছরের এক শিশুকে একাধিকবার যৌন নিপিড়ন করে নয়ন ফকির নয়া। সর্বশেষ শুক্রবারও সে শিশুটিকে ২০ টাকা দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে নিজের কক্ষে নিয়ে ফের নিপীড়ন করে। এই ঘটনাটি শুক্রবার প্রকাশ পেলে ওই দিন রাতে নয়নকে কোয়াটার থেকে ধরে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

র‌্যাবের দাবি- নয়ন শিশু নিপিড়নের অভিযোগটি স্বীকার করেছে। এই ঘটনায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের পরবর্তী তাকে বরিশাল মেট্রোপলিটন কোতয়ালি মডেল থানা পুলিশে হস্তান্তর করা হয়েছে।

এদিকে শিশুটিকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালের গাইনি ওয়ার্ডে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

শিশুটির পরিবারের দাবি- নয়ন ফকির তাদের মেয়েকে একাধিকবার যৌন নিপীড়ন করেছে। কিন্তু মেয়েটি মুখ না খোলায় বিষয়টি প্রকাশ্যে আসেনি। সর্বশেষ শুক্রবার তাকে ফের যৌন নিপীড়ন করা হলে পুরো ঘটনাটি সামনে চলে আসে।

তবে নয়ন ফকিরের পরিবার এই অভিযোগ অস্বীকার করে উল্টো অভিযোগ তুলে বলছে- নয়ন শেবাচিম হাসপাতালের চতুর্থ শ্রেণি কর্মচারী সেফালী বেগমের ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন।

তাদের দাবি- সেফালী বেগমের স্বজন পরিচয় দিয়ে এক নারীকে অবৈধভাবে কোয়াটারে বসবাস করার সুযোগ করেছেন। এ সম্পর্কে সম্প্রতিকালে শেবাচিম কর্তৃপক্ষের কাছে নয়ন অভিযোগ করায় তাকে বেকায়দায় ফেলতে এই অভিযোগ তোলা হয়েছে।

আপনি আরও পড়তে পারেন