‘কাকে খেলা শেখাবেন, আমরা ছোট বেলার খেলোয়াড়’

নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের এমপি শামীম ওসমান বলেছেন, এখন চাইলে নারায়ণগঞ্জকে অবরুদ্ধ করতে পারি। সুতরাং আমাদের সঙ্গে খেলবেন না। কাকে খেলা শেখাবেন। আমরা তো অনেক ছোট বেলার খেলোয়াড়। যাদের এসএ আরএস সিএস পর্চার আওয়ামী লীগে তাদেরকে খাস বানিয়ে দেওয়া হচ্ছে আর যারা খাস ছিল তারা আজকে আওয়ামী লীগ। এসব যখন দেখি তখন কষ্ট লাগে। খুব কষ্ট লাগে।

শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে নারায়ণগঞ্জ শহরের মিশনপাড়ায় সলিমুল্লাহ সড়কে ‘রুখে দাঁড়াও স্বাধীনতা বিরোধী সকল অপশক্তির বিরুদ্ধে’ আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

নারায়ণগঞ্জের প্রশাসনকে উদ্দেশ্য করে শামীম ওসমান বলেন, নারায়ণগঞ্জের প্রশাসনের ভাইদের বলবো আপনারা শুদ্ধি অভিযান চালান প্রশাসনের ভেতরে। নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগ মানেই আগুন নিয়ে খেলা। সুতরাং খেলবেন না। পারবেন না। জিয়া পারেনি, খালেদা জিয়া পারেনি, এরশাদও পারেনি। শেখ হাসিনা ইতোমধ্যে বলেছেন, তৃণমূলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে অন্যায় আচরণ হলে কাউকে ছাড় দেব না। আমি সেই শেখ হাসিনার কর্মী। নারায়ণগঞ্জের আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী কাউকে ভয় করে রাজনীতি করে না। নারায়ণগঞ্জের আওয়ামী লীগকে নিয়ে কেউ খেলা করতে পারবেন না। নারায়ণগঞ্জের আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের অসম্মান করলে সে যদি মন্ত্রীও হয় ছাড় দেব না।

তিনি বলেন, বাবা-মায়ের পর যদি কাউকে মানি কারও জন্য জীবন দিতে পারি তিনি হলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ’৭৫ এর পর যারা রাজনীতিতে এসেছি আমরা শেখ হাসিনাকে স্বপ্নের মা, রাজনৈতিক মা মনে করি।

নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য বলেন, আজকের সমাবেশে অন্য কোনো সাবজেক্ট নয়। গত কোরবানির ঈদে মাংস বিতরণের নামে একটি এনজিও রোহিঙ্গাদের মাঝে অস্ত্র বিতরণ করেছে। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ট ট্রাম্পের কাছে প্রিয়া সাহা নামের এক নারী গিয়ে অনেক কিছু বলে আসছে। ড. কামাল, মির্জা ফখরুলরা বিদেশিদের জন্য মিটিং করছেন। এটা যখন শুনলাম তখনই এ সভার প্রস্তুতি নিলাম।

তিনি বলেন, আমি আল্লাহ ছাড়া কারও ওপর ভরসা করি না। আজকের সমাবেশ নিয়ে অনেকে প্রশ্ন কার বিরুদ্ধে সমাবেশ? এমন কোনো কাজ শামীম ওসমান করবে না যাতে সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়। কখন কোথায় কথা বলতে হয় আমি জানি। সংসদে ইকবাল সোবহান চৌধুরীর বিরুদ্ধেও কথা বলেছি।

শামীম ওসমান বলেন, জেলা প্রশাসক বলেছেন স্বাধীনতাবিরোধী কেউ যাতে পুলিশে ঢুকতে না পারে। কথাটি আমার ভালো লেগেছে। কিন্তু সেখানে শুধু পুলিশ না কোনো জায়গায়ই যেন প্রবেশ করতে না পারে।

তিনি বলেন, নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপারকে ডেকেছিলাম। অনেক চৌকশ পুলিশ অফিসার। সিদ্ধিরগঞ্জের ঘটনার পর আমি কথা বলেছিলাম। ঘটনা ঘটেছে ১নং ওয়ার্ডে। ৭৫ জনের নাম উল্লেখসহ ৪৯৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা হলো। তাদের সকলেই আওয়ামী লীগের সাচ্চা কর্মী ও ব্যবসায়ী। সিদ্ধিরগঞ্জ হলো নারায়ণগঞ্জের গোপালগঞ্জ। পুলিশ সুপার আশ্বাস দিয়েছেন নিরপরাধ কাউকে হয়রানি করা হবে না। অতি উৎসাহী পুলিশ অফিসার ষড়যন্ত্র করছেন। অনেক পুলিশ অফিসার অনেক নেতার বিরুদ্ধে নিউজ করতে সাংবাদিকদের কারও কারও টেক্সট করে।

আপনি আরও পড়তে পারেন