মির্জা ফখরুলের বক্তব্য না শুনেই চলে গেলো নেতা কর্মীরা

খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে রাজধানীতে মানববন্ধন করেছে বিএনপি। সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। এই কর্মসূচিতে প্রায় দুই হাজার বিএনপি ও এর অঙ্গ এবং সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

তবে সকাল ১১ টা ৫০ মিনিটে সভাপতির বক্তব্য দেওয়ার আগেই ব্যানার গুটিয়ে এবং ফেস্টুন নিয়ে নেতা কর্মীদের কর্মসূচির স্থান ত্যাগ করতে দেখা যায়। এর ফলে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর যখন সভাপতির বক্তব্য দেন, ওই সময় মাত্র দুই থেকে তিন শত নেতা কর্মী কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন।

বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিএনপির উদ্যোগে এ মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।

সভাপতির বক্তব্যের আগেই কর্মসূচি থেকে চলে যাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির কর্মী বলেন, পুলিশ কর্মসূচিকে ঘিরে রেখেছে। পাশাপাশি সাদা পোশাকে বিভিন্ন আইন সংস্থায় বাহিনীও রয়েছে। তাই গ্রেপ্তার এড়াতে আগেই চলে যাচ্ছি।

তবে বিএনপির কর্মসূচি থেকে গ্রেপ্তার করার নির্দেশ ছিলো না বলে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে দায়িত্বরত পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে।

পূর্ব ঘোষিত মানববন্ধন কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে সকাল ১০টা থেকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিএনপি ও এর অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের হাজার হাজার নেতা কর্মীদের সমবেত হতে দেখা গেছে।

এদিকে মানববন্ধনকে ঘিরে প্রেসক্লাবের সামনে এবং এর আশ-পাশের এলাকায় কঠোর নিরাপত্তার বলয় গড়ে তুলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। পাশাপাশি সাদা পোশাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন সংস্থার সদস্যদেরও মোতায়েন করা হয়।

এসময় মানববন্ধনে নেতা কর্মীরা মুক্তি চাই, খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই, খালেদা জিয়ার কিছু হলে জ্বলবে আগুন ঘরে ঘরে, জেলের তালা ভাঙবো খালেদা জিয়াকে আনবোসহ বিভিন্ন স্লোগানে প্রেসক্লাব প্রাঙ্গন মুখরিত করে তুলেন।

মির্জা ফখরুলের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বিএনপি নেতা ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, জয়নুল আবেদীন ফারুক, আবুল খায়ের ভূইয়া, হাবিবুর রহমান হাবিব, আবদুল আউয়াল মিন্টু, এজেডএম জাহিদ হোসেন, অ্যাডভোকট আহমদ আযম খান, মুজিবুর রহমান সারোয়ার, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, হাবিব-উন-নবী- খান সোহেল, খায়রুল কবির খোকন, শিরিন সুলতানা, মীর সরাফত আলী সপু, আফরোজা আব্বাস প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

আপনি আরও পড়তে পারেন