দলে অনুপ্রবেশকারীদের প্রতি কড়া হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দলে (আওয়ামী লীগে) অনুপ্রবেশের বিষয়টি দীর্ঘদিনের। দলে আগাছা পরগাছা পরিষ্কারের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। ঢাকায় পাঁচটি সহযোগী সংগঠনের কমিটি দেওয়া হয়েছে। সেখানে আমরা ক্লিন ইমেজের নেতৃত্ব উপহার দিয়েছি। এছাড়া, ৭০টি জেলা-উপজেলায় কমিটি হয়েছে। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের সম্মেলনেও ক্লিন ইমেজের নেতৃত্ব নিয়ে আসা হচ্ছে’।
রোববার (২৪ নভেম্বর) দুপুরে রাজাধানীর মতিঝিলে বিআরটিসির বাস ডিপোতে প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে ৮ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে বিআরটিসি’র বাস হস্তান্তর অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আওয়ামী লীগে অনুপ্রবেশকারীদের যে তালিকা প্রধানমন্ত্রীর কাছে ছিল। সেগুলো বিভাগীয় নেতাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। অনুপ্রবেশকারীদের বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তালিকায় থাকা কোন নেতার বিরুদ্ধে অনুপ্রবেশকারী হিসেবে প্রমাণ হলে আওয়ামী লীগ থেকে বিতাড়িত করা হবে’।
সম্প্রতি হয়ে যাওয়া যুবলীগের কংগ্রেস প্রসঙ্গে তিনি বলেন,’ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় যুবলীগের ক্লিন ইমেজের নতুন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। যিনি নির্বাচিত হয়েছেন তিনি একজন অ্যাকাডেমিশিয়ান এবং শিক্ষিত। আমরা আশা করি যুবলীগের উজ্জ্বল ভাবমূর্তি ফিরিয়ে আনার জন্য তিনি কাজ করে যাবেন।
এসময় বিএনপিরও সমালোচনা করেন কাদের। তিনি বলেন, ‘বিএনপি একটি আন্দোলন করতে পারে না। নির্বাচনে, আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগার করছে। সব বিষয়ে বিএনপি একটি ব্যর্থ দলে পরিণত হয়েছে। তাদের দলের অভ্যন্তরে গণতন্ত্র অনুপস্থিত। আমাদের দলের সম্মেলন হয়, বিএনপি’র সম্মেলনের কোন খবর পাওয়া যায় না’।
বিএনপি নালিশ পার্টিতে পরিণত হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, বিএনপি একটি নালিশ পার্টিতে পরিণত হয়েছে৷ নেতৃত্ব নিয়ে তাদের নিজেদের ঘরে অনেক প্রশ্ন উঠছে৷ তাদের কেন্দ্রীয় নেতারাও বলেছেন, খালেদার মুক্তি আন্দোলনে একটা কর্মসূচিও তারা দিতে পারেননি। এখন তারা নেতাকর্মীদের চাঙা করার জন্য সরকারবিরোধী লাগামহীন বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন।
বিএনপি নেতাদের মুখের ওপর সরকারের নিয়ন্ত্রণ নেই জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমাদের সবখানে নিয়ন্ত্রণ রয়েছে, শুধু বিএনপির অপপ্রচারের নিয়ন্ত্রণ নেই।