খাদ্যমন্ত্রী নিজেই ব্যবসায়ী, দ্রব্যমূল্য কীভাবে স্থিতিশীল হবে

আওয়ামী লীগ নিজেকে ‘দেশের প্রভু’ ভাবে, এমন মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, এটাই সরকারে মুল সমস্যায় পরিণত হয়েছে । এ কারণে সব কিছু তাদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে চায় তারা। ক্ষমতায় গিয়ে তারা পাকাপোক্ত, যেন দেশের প্রভু হয়ে গেছেন। যার ফলে একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে এই দেশ ।

আজ মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) সকাল ১১টায় ঠাকুরগাঁয়ে নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন তিনি।

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘খাদ্যমন্ত্রী নিজেই যেখানে ব্যবসায়ী সেখানে দ্রব্যমূল্য কীভাবে স্থিতিশীল হবে। পেঁয়াজ, চাল, লবণসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম লাগামহীনভাবে বেড়েই চলছে। সরকার দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে এতটাই ব্যর্থ যে এনবিআর এর চেয়ারম্যানকে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের জন্য বৈঠক করতে হয়। সেখানে বসেও তারা বলছে সব ঠিক আছে। কিন্তু কিছুই ঠিক নেই।’

epsoon tv

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সরকার ক্ষমতা দখল করার পর অনভিজ্ঞ ও অদক্ষ লোকদের দায়িত্ব দিয়েছে। একটি অস্থিতিশীল দেশ পরিচালনা করার জন্য যে কৌশল, প্রজ্ঞা থাকা দরকার তা মন্ত্রীদের নেই। কিছু কিছু মন্ত্রী ভেবে চিন্তে কথা বলেন না। এখানে একদলীয় নিয়ম, একদলীয় শাসন চলছে। এখানে প্রধানমন্ত্রী যা বলবেন তাই হবে। এখানে সুশাসনের অভাব। গণতান্ত্রিক চিন্তাভাবনা তাদের মধ্যে নেই। লক্ষ্য যেহেতু একদলীয় সরকার, যেখানে সুশাসন প্রধান নয়। ১৬ কোটি মানুষের একটি দেশ এভাবে চলতে পারে না।’

মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ এখন পুরোপুরি একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। কারণ সরকার দ্রব্যমূল্য, আইনশৃঙ্খলা, সুশাসনসহ সব জায়গায় ফেল করে যাচ্ছে। বিচার বিভাগ, নির্বাচন কমিশন, প্রশাসনকে নিরপেক্ষভাবে কাজ করতে দিতে হয়, তা এখানে অনুপস্থিত। একদলীয় শাসন ব্যবস্থাকে তারা পাকাপোক্ত করতে চায়। সব ক্ষেত্রে দলীয় লোকজনকে নিয়োগ দিচ্ছে। কোনও ভিন্নমতের লোকদের চাকরি হয় না। অপর দিকে বিদেশ থেকে বাংলাদেশি শ্রমিকরা ফেরত আসছে। সরকার যতই চিৎকার করুক, তারা জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে আসেনি। ফলে তাদের সে দুর্বলতা সব সময় কাজ করে। যে জন্য জায়গাটা নিতে পারছে না। দেশ অগণতান্ত্রিক ও স্বৈরতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় চলছে। সুতরাং সরকারের উচিত অবিলম্বে পদত্যাগ করা।’

এসময় জেলা বিএনপির সভাপতি তৈমুর রহমান, সহসভাপতি নূর এ শাহাদাৎ স্বজনসহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

আপনি আরও পড়তে পারেন