দেখতে দেখতে ১১ বছর, আন্দোলন কোন বছর?: বিএনপিকে সেতুমন্ত্রী

বিএনপির রাজনীতি চোরাবালিতে আটকে গেছে। বিএনপিকে নিয়ে বিচলিত হওয়ার কিছু নেই। বিএনপি এখন নালিশ পার্টি। প্রেস ব্রিফিং আর নালিশ ছাড়া বিএনপির আর কোনও অবলম্বন নেই বলে খুলনা জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে জানিয়েছেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি ।

তিনি বলেন, দেখতে দেখতে ১১ বছর। আন্দোলন কোন বছর? জঙ্গিবাদের প্রশ্রয়দাতা, সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীর পৃষ্ঠপোষক বিএনপিকে দেশের জনগণ আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না। মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে খুলনা সার্কিট হাউজ ময়দানে আয়োজিত সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজান ও জেলা শাখার ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সুজিত অধিকারীর সঞ্চালনায় সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান এমপি, সাবেক প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম এমপি, খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য শেখ সালাউদ্দিন জুয়েল,

সাংগঠনিক সম্পাদক হুইপ আবু সাইদ আল মাহমুদ স্বপন এমপি, শ্রম সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ, উপ-দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, নির্বাহী কমিটির সদস্য এসএম কামাল হোসেন ও অ্যাড. আমিরুল আলম মিলন, বাগেরহাট-২ আসনের সংসদ সদস্য শেখ সারহান নাসের তন্ময়। স্থানীয় নেতাদের মধ্যে বক্তৃতা করবেন সংসদ সদস্য পঞ্চানন বিশ্বাস, নারায়ণ চন্দ্র চন্দ, আব্দুস সালাম মুর্শিদী, মো. আক্তারুজ্জামান বাবু ও গ্লোরিয়া ঝর্ণা সরকার প্রমুখ।

ওবায়দুল কাদের আরো বলেন, শেখ হাসিনার ডাইরেক্ট অ্যাকশন শুরু হয়ে গেছে। চাঁদাবাজ, দুর্নীতিবাজ, মাদক ব্যবসায়ী, সন্ত্রাসী, ভূমিদস্যুরা সাবধান। দাগী সন্ত্রাসী দুর্নীতিবাজরাই অনুপ্রবেশকারী। ক্লিন ইমেজ, ভালো লোকদের আপনারা দলে স্থান দেবেন। আত্মীয়-স্বজন দিয়ে পকেট কমিটি দিয়ে রাজনীতি করবেন না। আওয়ামী লীগে পকেট কমিটির কোনও প্রয়োজন নেই। ত্যাগীদের মুল্যায়ন করতে হবে। ছবি ঝুলিয়ে, বিলবোর্ড দখল নিয়ে প্রচার করা যাবে, নেতা হওয়া যাবে না। নেতা হতে হলে কর্মীবান্ধব হতে হবে। পরিচ্ছন্ন হতে হবে।

সম্মেলনের প্রথম পর্ব উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য পীযুষ কান্তি ভট্টাচার্য। সম্মানিত অতিথি ছিলেন বঙ্গবন্ধুর ভাতিজা শেখ হেলাল উদ্দিন এমপি। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ হারুনুর রশীদের সভাপতিত্বে শুরুতেই স্বাগত বক্তৃতা করেন নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি কেসিসি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক। প্রধান বক্তা ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান ও কেন্দ্রীয় যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহ্বুব উল আলম হানিফ এমপি।

আপনি আরও পড়তে পারেন