সরকার স্বাধীনতার স্বপ্নকে খানখান করে দিয়েছে: মির্জা ফখরুল

স্বাধীনতার স্বপ্নকে সরকার খানখান করে দিয়েছে মন্তব্য করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আজকের এই দিনে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী আমাদের দেশকে যারা পূর্ণগঠন করবে তাদেরকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছেন।

তারা এ দেশকে মেধাশূণ্য করার লক্ষে পরিকল্পিতভাবে আমাদের মেধাবী সন্তানদের হত্যা করেছে।

তিনি বলেন, আজকে মহান স্বাধীনতার যিনি ঘোষক তার সহধর্মিনী যিনি পাকহানাদার বাহিনীর হাতে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় বন্দী ছিলেন তাকে অন্যায়ভাবে কারাগারে বন্দি করে রাখা হয়েছে।

এই সরকার দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে বন্দি করে রাখার মাধ্যমে আমাদের স্বাধীনতার স্বপ্নকে খানখান করে দিয়েছে। শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে মিরপুরে বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের একথা বলেন তিনি।

ফখরুল বলেন, বাংলাদেশের এবং জাতির সমস্ত অর্জনগুলোকে ধ্বংস করে দিয়েছে এই সরকার। আমরা আজকে গণতন্ত্রবিহীন জনগণের অধিকার বিহীন একটা অবস্থায় বসবাস করছি।

আজকে যখন আমাদের নেত্রী কাররাগারে, আমাদের নেতাকর্মীরা কারাগারে, এদিকে এই সরকার মিথ্যা মামলা দিয়ে সকল গণতান্ত্রিক দল গুলোকে স্তব্ধ করে দেয়ার চেষ্টা করছে।

আমাদের সমস্ত জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রামে নামতে হবে। আজকের এই দিনে বুদ্ধিজীবীদের পথ অনুসরণ করে দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বকে রক্ষা করার জন্য এবং গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনার জন্য আমরা আমাদের সংগ্রামের আরো গতি বাড়াবো। ইনশাআল্লাহ জনগণকে সাথে নিয়ে আমরা বিজয় অর্জন করব।

‘দেশের মানুষ আজ এনআরসি নিয়োগ উদ্বিগ্ন, কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে কোন কিছুই করা হচ্ছে না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ফখরুল বলেন, এনআরসির বিষয় নিয়ে আমরা প্রথম থেকে বলছি যে, এই বিষয় নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন।এনআরসি আমাদের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি বলে আমরা মনে করছি।

আজকে যে অবস্থা তৈরি হয়েছে এই অবস্থা শুধু বাংলাদেশে নয়, সমগ্র উপমহাদেশে একটা অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করবে। উপমহাদেশের অসাম্প্রদায়িক রাজনীতি, উদারপন্থী রাজনীতিকে ধ্বংস করে দিয়ে একটা সাম্প্রদায়িক রাজনীতি প্রতিষ্ঠিত করার প্রয়াস করা হচ্ছে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, সেলিমা রহমান, উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, আমানউল্লাহ আমান, হাবিবুর রহমান হাবিব, যুগ্ন মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, বিএনপি নেতা ডাক্তার রফিকুল ইসলাম বাচ্চু, ডাক্তার আব্দুস সালাম, কামরুজ্জামান রতন, আমিনুল ইসলাম, আমিরুল ইসলাম খান আলীম, নাজিম উদ্দিন আলম, খন্দকার মারুফ হোসেন, চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইং সদস্য শামসুদ্দিন দিদার, আবুল বাশার, আনোয়ার হোসেন, আহসান উল্লাহ হাসান, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, সাংগঠনিক সম্পাদক মামুন হাসান, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবু, সিনিয়র সহ-সভাপতা গোলাম সারোয়ার, যুগ্ম সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ফিরোজ, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ, যুবদল উত্তরের সভাপতি এসএম জাহাঙ্গীর হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক জগলুল হাসান পাপেল, প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

আপনি আরও পড়তে পারেন