প্রেমিকা সেজে মিলনের ছবি তুলে ব্ল্যাকমেইল করেন রেবেকা

প্রথমে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলার পর ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তুলেন রেবেকা খাতুন। আর তারপরই প্রেমিককে যৌন সম্পর্ক গড়ার প্রস্তাব দেন। প্রেমিককে এ প্রস্তাব দিয়ে বাড়িতে ডেকে এনে তার আপত্তিকর ছবি তুলে ব্ল্যাক মেইল করতে থাকেন। প্রেমিকা রেবেকা খাতুনের দাবি করা টাকা না দিলে আপত্তিকর তোলা সকল ছবি ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেন। আর এভাবেই টাকা হাতিয়ে নিত প্রতারক চক্রের এই মহিলা সদস্য।

এমন এক প্রতারণা করতে গিয়ে পুলিশের জালে আটকে গেছেন প্রতারক রেবেকা খাতুন (২৭) ও ইমরান আলী ওরফে বাবু (২৪)। ১৮ ডিসেম্বর রাতে চাঁচকৈড় বাজারপাড়া থেকে যৌন প্রতারণার অভিযোগে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

সিংড়া সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার জামিল আকতার জানান, যৌন প্রতারণার শিকার একজন যুবক থানায় অভিযোগ করলে আমরা বিষয়টি নিয়ে তদন্তে নামি। তদন্তে আমরা দেখতে পাই অভিযুক্ত নারী মোবাইল ফোনের মাধ্যমে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। এরপর সুকৌশলে তাদেরকে ঘরে নিয়ে এসে আপত্তিকর অবস্থায় কিছু ছবি তুলে এবং এর বিনিময়ে মোটা অংকের টাকা দাবি করে। ভুক্তভোগীরা বেশিরভাগ সময়ই সামাজিক মর্যাদা রক্ষার স্বার্থে অর্থ লেনদেন করে বিষয়টির সমাধান করেন এবং গোপন রাখেন।

গত ১৬ই ডিসেম্বর রাতে একজন ভুক্তভোগী তার সাথে দেখা করতে গেলে ইমরান আলী ও সুরুজ আলী তাদেরকে গৃহবন্দি করে। এরপর তাদেরকে বিবস্ত্র অবস্থায় আপত্তিকর ছবি তুলতে বাধ্য করে। তাৎক্ষণিক ভুক্তভোগীর কাছে বিকাশের মাধ্যমে ১৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। আরো মোটা অংকের টাকা দাবি করে এবং দাবি না মানলে আপত্তিকর অবস্থায় ধারণকৃত স্থির চিত্র সমূহ ছড়িয়ে দেবে বলে ব্ল্যাকমেইল করে।

তথ্যপ্রযুক্তির সহযোগিতায় এবং এদের বিকাশের ট্রানজেকশন পর্যালোচনা করে আমরা আসামিদের পরিচয় নিশ্চিত করতে সক্ষম হই। এরপর অভিযান পরিচালনা করে গতকাল সন্ধ্যায় আমরা ইমরানকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হই। তার দেওয়া তথ্য মতে অভিযান পরিচালনা করে যৌন ফাঁদপাতা নারী রেবেকা খাতুনকে আমরা গ্রেফতার করি। এরা একটা সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তাদের বিরুদ্ধে পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন এর ৮ (১) ও ৮ (২) ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। দুইজনই আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছেন।

আপনি আরও পড়তে পারেন