প্রশাসন ‘ঘুমিয়ে থাকলে’ ইতিহাসের সর্বশ্রেষ্ঠ নির্বাচন হবে: দুদু

পুলিশ প্রশাসন ও মিলিটারি যদি ঘুমিয়ে থাকে তবে আসন্ন ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচন ভালো হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান ও কৃষক দলের আহবায়ক শামসুজ্জামান দুদু।

তিনি বলেছেন, ‘আসন্ন সিটি করপোরেশন নির্বাচন সম্পর্কে আমাকে অনেকে প্রশ্ন করেছে যে নির্বাচন কেমন হবে? আমি উত্তর দিয়েছি পুলিশ প্রশাসন, মিলিটারি ও সরকারের মন্ত্রীরা যদি আল্লাহরাস্তে ঘুমিয়ে থাকে তাহলে দেশের ইতিহাসের সর্বশ্রেষ্ঠ নির্বাচন হবে। আর তারা যদি কেন্দ্রে কেন্দ্রে আসে তবে গত বছর যা হয়েছে গত ১৩ বছরে যা হয়েছে, তাই হবে।’

মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে কৃষক দলের ৩৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ‘আমরা চ্যালেঞ্জ করে বলতে পারি— আমাদের দলের যিনি প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, তিনি শুধুমাত্র মুক্তিযুদ্ধের স্বাধীনতার ঘোষকই না, এই দেশে যা কিছু সুন্দর তার সব কিছু অবদান তাঁর। আমার এখনও মনে আছে— শহীদ জিয়া আমাদের গ্রামে চুয়াডাঙ্গায় গিয়েছিলেন, একটি গ্রামের মধ্যে দিয়ে তিনি হাঁটতে হাঁটতে যাচ্ছিলেন, হঠাৎ প্রেসিডেন্ট একেবারেই গরীব একটা বাড়িতে গিয়ে বললেন— ‘মা একটু পানি খাবো’। মহিলা দ্রুত একটি কাঁচের গ্লাস পরিষ্কার করে এক গ্লাস পানি দিল। আমাদের এলাকায় কারও বাড়ি কেউ গেলে যত গরীব হোক না কেনো একটু মরি বা গুড় দেয়। কিন্তু ওই মহিলার বাসায় কিছু ছিল না, প্রেসিডেন্ট হাসি মুখে পানি খেয়ে আবার বললেন— ‘মা একটু যদি পানির সাথে লেবু বা চিনি থাকতো…’। ৬০/৬৫ বছরের সেই বৃদ্ধা প্রেসিডেন্টের খুব কাছে এসে মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে বললেন— ‘রাজা আমি সামনের বার চেষ্টা করব’। তখন প্রেসিডেন্ট তার সামনের ফাঁকা জায়গাটা দেখিয়ে বললেন— ‘মা এখানে একটা লেবু গাছ লাগানো যায়’। তারপর প্রেসিডেন্ট চলে এলেন, এক বছর পর তার শাহাদত বরণ হলো। এরপর আমি যেদিন ওই গ্রামে গিয়েছি ওই মহিলা দৌঁড়ে আমার কাছে এসে বললেন— ‘দুদু, ওই লোকটা (শহীদ জিয়া) কোথায়? তাকে একদিন নিয়ে এসো আমার গাছে লেবু ধরেছে।’ আমি কিছুক্ষণ চুপ থেকে বললাম যে তাকে হত্যা করা হয়েছে, এ কথা শুনে মহিলাটি অঝোরে কাঁদলেন। এই ছিলেন আমাদের দলের প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান।’

শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ‘কৃষকদের জন্য শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়া কি করেননি? তৎকালীন সময় পাঁচ হাজার টাকা, আসলসহ সুদ মওকুফ করে দিয়েছেন জিয়াউর রহমান। জিয়াউর রহমানের ওই জায়গায় যদি কাউকে পৌঁছাতে হয় তবে আরেকবার তাকে জন্ম নিতে হবে।’

বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান ও কৃষক দলের আহবায়ক শামসুজ্জামান দুদুর সভাপতিত্বে এবং আহবায়ক কমিটির সদস্য এসকে সাদীর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, কৃষক দলের সদস্য সচিব কৃষিবিদ হাসান জাফির তুহিন, যুগ্ন-আহবায়ক তকদির হোসেন মো. জসিম, আলহাজ্ব নাজিম উদ্দিন মাস্টার, ঢাকা মহানগরীর আহবায়ক অ্যাডভোকেট নাসির হায়দার, আহবায়ক কমিটির সদস্য শহিদুল ইসলাম ভূঁইয়া, মাইনুল ইসলাম, মোহাম্মদ আলিম হোসেন, লায়ন মিয়া মোহাম্মদ আনোয়ার, কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন, কৃষিবিদ মেহেদী হাসান পলাশ, খলিলুর রহমান ইব্রাহিম, হাজী মোজাম্মেল হক মিন্টু, এম জাহাঙ্গীর আলম, আব্দুর রাজি, শফিকুল ইসলাম শফিক, কৃষকদল নেতা শাহজাহান মিয়া সম্রাট, আমিনুর রহমান, ইঞ্জিনিয়ার হৃদয় প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

আপনি আরও পড়তে পারেন