প্রচারণার আগেই পাল্টাপাল্টি অভিযোগে জমে উঠেছে ঢাকার দুই সিটি নির্বাচন

প্রচারণার আগেই পাল্টাপাল্টি অভিযোগে জমে উঠেছে ঢাকার দুই সিটি নির্বাচন। ভোটাররাও এখন অধীর আগ্রহে আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরুর অপেক্ষায়। সব দলের অংশগ্রহণে এই নির্বাচন হয়ে উঠেছে উৎসবমুখর, আর দলীয় প্রতীকে হওয়ায় যুক্ত হয়েছে বাড়তি মাত্রা। ভোটাররা চান এই আমেজ বজায় থাকুক শেষ পর্যন্ত। আর সেক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনকেই মূল ভূমিকা রাখতে হবে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।

নগরে আবারো এসেছে নির্বাচন। একদিন বাদেই প্রতীক বরাদ্দ তারপরেই ঢাকার দুই সিটিতে মাঠে নামবেন প্রার্থীরা।

উত্তরের উপনির্বাচনে আগেই হয়েছে দলীয় প্রতীকে ভোট। দক্ষিণে এবারই প্রথম। ভোটের মাঠে এবার শেষ পর্যন্ত মাঠে থাকার ঘোষণা বিএনপির। নৌকা-ধানের শীষের লড়াই দেখার অপেক্ষায় নগরবাসী।

এক নগরবাসী বলেন, আওয়ামী লীগ বিএনপি সবাই অংশ নিচ্ছে, নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দেবেন বলে আমরা আশা রাখি।

আর একজন বলেন, ইভিএমে ভোট হবে। এতে করে কারচুপি হওয়ার কোনো আশঙ্কা মনে হচ্ছে থাকবে না।

তবে শেষ ভালো যার সব ভালো তার। নগরবাসী বলছেন, শুধু অংশগ্রহণমূলকই নয়, একটি গ্রহণযোগ্য ভোট দেখতে চান তারা। যেখানে নগরপিতার পালাবদল হবে শান্তিপূর্ণভাবে।

কয়েকজন জানান, নির্বাচনী পরিবেশ যেন সুন্দর হয়। কেন্দ্রে গিয়ে যেন নিজেদের ভোট নিজেরা দিতে পারি।

সেক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনকেই মুখ্য ভুমিকা রাখতে হবে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।

স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ ড. তোফায়েল আহমেদ বলেন, ভয়ের পরিবেশ দূর করতে হবে। যাতে নির্বিঘ্নে সবাই কেন্দ্রে আসতে পারে। ক্ষমতাসীনদের বিপক্ষ দল যেন এজেন্ট রাখে। তাহলে সমস্যা সমাধান হয়। বিশেষ করে প্রশাসনের সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ ভূমিকা রাখতে হবে।

সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব) সাখাওয়াত হোসেন বলেন, প্রথম থেকে ইসি দৃঢ়ভাবে আইন প্রয়োগ করতে পারে। অভিযোগগুলো আমলে নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারে। ইসি হয়তো ভালো একটা নির্বাচন উপহার দিতে পারবে যেটা তাদের জন্য খুবই প্রয়োজন।

ঢাকা উত্তরে ৫৪টি সাধারণ ও ১৮টি সংরক্ষিত ওয়ার্ড আর দক্ষিণে ৭৫টি সাধারণ সংরক্ষিত ওয়ার্ড ২৫টি।

আপনি আরও পড়তে পারেন