বাজারের কমেছে যেসব ভোগ্যপণ্যের দাম

আন্তর্জাতিক বাজারে সব ধরনের ভোজ্য তেলের বুকিং রেট কমতে শুরু করেছে। ফলে দেশের বৃহত্তম পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জে এক সপ্তাহের ব্যবধানে মণ প্রতি কমেছে আড়াইশ’ থেকে তিনশ’ টাকা। একইভাবে কমতে শুরু করেছে আদা, রসুন এবং পেঁয়াজের দাম। তবে অস্থিরতা রয়েছে ডাল এবং চিনির বাজারে। 

গত দু’মাস চরম অস্থিরতা বিরাজ করছিল ভোজ্য তেলের বাজারে। আন্তর্জাতিক বাজারে বুকিং রেট বাড়ায় মণ প্রতি ভোজ্য তেলের দাম বেড়ে যায় প্রায় চারশো টাকা। কিন্তু চলতি সপ্তাহে এক লাফে দাম কমেছে আড়াইশ থেকে তিনশ টাকা। ৩৪শ’ টাকার সয়াবিন ৩১শ’ ৫০ টাকা, ৩২শ’ টাকার পাম অয়েল ২৯শ’ টাকা এবং ৩২শ’ ৫০ টাকার সুপার সয়াবিন এখন ৩ হাজার ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে কমেছে ৪০ থেকে ৫০ ডলার কিন্তু বাজারে কমার কথা ৫০ থেকে ৬০ টাকা কিন্তু বাজারে কমে গেছে ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা। মাল পর্যাপ্ত আছে। তারল্য সঙ্কট থাকায় বাজার পড়ে গেছে।

চাহিদার তুলনায় বর্তমান বাজারে আদা-রসুন এবং পেঁয়াজের যোগান বেড়েছে। এতে পেঁয়াজের কেজি ৫ থেকে ৭ টাকা, রসুন ২ টাকা এবং আদা ১০ টাকা কমেছে। ব্যবসায়ীরা বলেন, বেশি আমদানি হয়েছে। সে জন্য খুচরা ক্রেতাও কমে গেছে।

অন্যান্য ভোগ্য পণ্যের দাম কমলেও সব ধরনের ডালের দাম কিছুটা বেড়েছে। ব্যবসায়ীরা বলেন, দাম বাড়ার কারণ বিদেশে বুকিং বৃদ্ধি পেয়েছে। অস্ট্রেলিয়া এবং কানাডায় মশুরের গোটা এবং ছোলার দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় এখানেও বেড়ে গেছে।

তবে সরবরাহ স্বাভাবিক থাকা সত্ত্বেও বুকিং রেট বাড়ার অজুহাতে নিয়ন্ত্রণে আসছে না চিনির দাম। ব্যবসায়ীরা বলেন, চিনির বাজার একই রকম আছে। আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বেশি। সামনে আরও বাড়তে পারে। পাইকারি পর্যায়ে ভোজ্য তেল, আদা, রসুন ও পেঁয়াজের দাম কমলেও খুচরা বাজারে তার কোনো প্রভাব পড়েনি।

 

আপনি আরও পড়তে পারেন