স্ত্রীসহ চারজনকে হত্যার পর যুবকের আত্মহত্যার ঘটনায় দুই মামলা

মৌলভীবাজারের বড়লেখায় পারিবারিক কলহের জের ধরে স্ত্রী-শাশুড়িসহ দুই প্রতিবেশীকে হত্যার পর এক যুবকের আত্মহত্যার ঘটনায় থানায় দুটি মামলা হয়েছে। এরমধ্যে একটি হত্যা মামলা (নং-০৯) এবং অপরটি অপমৃত্যু মামলা (০২)।

রোববার (১৯ জানুয়ারি) রাতে উপজেলার উত্তর শাহবাজপুর ইউপির পাল্লাথল চা বাগানের সহকারী ব্যবস্থাপক জাকির হোসেন বাদি হয়ে এই মামলা করেন। তবে হত্যা মামলায় কাউকে আসামি করা হয়নি।

বড়লেখা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. জসীম সোমবার (২০ জানুয়ারি) সকালে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রোববার ভোররাতে পারিবারিক কলহ নিয়ে নির্মল কর্মকারের সঙ্গে তার স্ত্রী জলি বুনার্জির ঝগড়া হয়। এরই জের ধরে সে জলিকে দা দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে। এসময় জলিকে বাঁচাতে তাঁর মা লক্ষ্মী ও পাশের ঘরের বসন্ত ভৌমিক এবং বসন্তের মেয়ে শিউলী এগিয়ে এলে নির্মল তাদেরও কুপিয়ে হত্যা করে। ঘটনার সময় কোনো মতে বেঁচে যায় ঘাতকের সৎ মেয়ে চন্দনা। চন্দনা দৌঁড়ে পালিয়ে গিয়ে চিৎকার দিলে আশাপাশের শ্রমিকরা বাড়ি ঘেরাও করেন। এ অবস্থায় নির্মল ঘরের দরজা লাগিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন।

ঘটনার খবর পেয়ে সকালে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশগুলো উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়। খবর পেয়ে মৌলভীবাজারের পুলিশ সুপার মো. ফারুক আহমদ, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট তানিয়া সুলতানা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পিবিআই) নজরুল ইসলাম ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (কুলাউড়া সার্কেল) কাওছার দস্তগীর, থানার অফিসার ইনচার্জ কর্মকর্তা ইয়াছিনুল হক, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. জসীম প্রমুখ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

পাল্লাথল চা বাগানের সহকারী ব্যবস্থাপক জাকির হোসেন জানান, হত্যাকারী নির্মল কর্মকার ছাড়া নিহত সবাই চা বাগানের শ্রমিক ছিলেন।

 

 

 

 

আপনি আরও পড়তে পারেন