বিয়ের ৩ দিনের মাথায় হাসপাতালে যেতে হলো কলেজছাত্রীকে

নওগাঁর রাণীনগরে বিয়ের মাত্র তিন দিনের মাথায় স্বামী এবং স্বামীর পরিবারের লোকজনের মারধর ও নির্যাতনের শিকার হয়ে নববধূ এক কলেজছাত্রীকে (১৮) হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছে।

এ ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে নববধূর স্বামীসহ কয়েকজনকে আসামি করে নববধূর বাবা বাদী হয়ে রাণীনগর থানায় নারী শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেছেন।

রাণীনগর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের ওই কলেজছাত্রী জানান, নওগাঁ সদরের শিমুলিয়া গ্রামের আবু বক্করের ছেলে উজ্জল হোসেনের (২৮) সাথে তিন বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক চলছিল। গত শুক্রবার রাতে তাদের বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে উজ্জল তার সাথে দেখা করতে আসে। এসময় স্থানীয় লোকজন টের পেয়ে ঘরের মধ্যে তাদেরকে আটক করে উজ্জলের পরিবারকে খবর দেয়া হয়। এর পর শনিবার দুপুরে উভয় পক্ষের আলোচনার মাধ্যমে বিয়ে সম্পন্ন হয়।

ওই দিন বিকেলে উজ্জল নববধূকে নিয়ে বাড়িতে যান। পরের দিন থেকেই যৌতুকের দাবিসহ নানা কারণে শুরু হয় নববধূর উপর নির্যাতন।

এরই রেশ ধরে মঙ্গলবার দুপুরে বাড়ি থেকে সান্তাহার বেড়াতে যাবার কথা বলে স্বামী উজ্জল হোসেন, ভাসুর, দেবর, দেবরের বন্ধু ও জাসহ একটি অটোরিকশা নিয়ে বের হন। এরপর সান্তাহার এসে সেখান থেকে রাণীনগর বাজার অতিক্রম করার সময় চলন্ত অটোরিকশার ভিতরে নববধূর মুখ পড়নের ওড়না দিয়ে বেঁধে মারধর করতে থাকে। এসময় রাণীনগর উপজেলার এনায়েতপুর পার হবার সময় মুখ খুলে চিৎকার করতে লাগলে স্থানীয় লোকজন অটোরিকশাটি আটক করে। আহত অবস্থায় নববধূকে উদ্ধার করে রাণীনগর হাসপাতালে ভর্তি করে দেয়।

রাণীনগর থানার ওসি মো: জহুরুল হক বলেন, এঘটনায় নববধূর বাবা বাদী হয়ে মঙ্গলবার রাতেই স্বামীসহ কয়েকজনকে আসামি করে রাণীনগর থানায় নারী-শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেছেন।

আপনি আরও পড়তে পারেন