করোনাভাইরাসে প্রাণ গেল আরও ১৫৭ জনের, মৃত বেড়ে ২৬১৯

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আরও ১৫৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে দুই হাজার ৬শ ১৯ জনে।

ডিসেম্বরের থেকে মহামারি ধারণ করা এই ভাইরাসটি এ পর্যন্ত ৩৩টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে। আক্রান্ত হয়েছে বিশ্বের ৭৯ হাজার ৫শ ৬১ জন মানুষ। এর মধ্যে চীনের মূল ভূখণ্ডেই অধিকাংশ মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।

চীনে এখন পর্যন্ত ২৩ হাজার ৩৬০ জন চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে। অপরদিকে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ১১ হাজার ৪৭৭ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

চীনের বাইরে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দ. কোরিয়ায় সাতজন, ইতালিতে তিনজন, জাপানের বিভিন্ন স্থানে তিনজন, অপরদিকে জাপানি প্রমোদতরী ডায়মন্ড প্রিন্সেসে তিনজন, হংকংয়ে দু’জন, ইরানে ৮ জন, তাইওয়ানে একজন, ফ্রান্সে একজন এবং ফিলিপাইনে একজনের মৃত্যু হয়েছে।

চীনের মূল ভূখণ্ডের বাইরে সর্বোচ্চ মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে ইরানে। সেখানে এখন পর্যন্ত ৮ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। রোববার নতুন করে আরও ১৫ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। ফলে এই ভাইরাসে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৪৩। ইরানে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকায় আতঙ্কে প্রতিবেশী তিন দেশ-আফগানিস্তান, পাকিস্তান এবং তুরস্ক ইরানের সঙ্গে তাদের সীমান্ত বন্ধ করে দিয়েছে।

চীনের পর দক্ষিণ কোরিয়ায় সবচেয়ে বেশি মানুষ প্রাণঘাতী এই ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়েছেন। সেখানে নতুন করে আরও ১৬১ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৭৬৩ জনে।

অপরদিকে, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে জাপানি প্রমোদতরীর আরও এক যাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। দু’সপ্তাহ ধরে ওই প্রমোতরীর যাত্রীদের কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছিল। এ নিয়ে ওই প্রমোদতরীর তিন যাত্রীর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে জাপানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ শনাক্ত করা হয়। নিউমোনিয়ার মত লক্ষণ নিয়ে নতুন এ রোগ ছড়াতে দেখে চীনা কর্তৃপক্ষ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে সতর্ক করে। এরপর ১১ জানুয়ারি প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।

ঠিক কীভাবে করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরু হয়েছিল- সে বিষয়ে এখনও নিশ্চিত নন বিশেষজ্ঞরা। এ রোগের কোনো প্রতিষেধকও মানুষের জানা নেই।

সার্স ও মার্স পরিবারের সদস্য নতুন এ করোনাভাইরাসের নাম দেওয়া হয়েছে নভেল করোনাভাইরাস। আর এর সংক্রমণে ফ্লুর মত উপসর্গ নিয়ে যে রোগ হচ্ছে, তাকে বলা হচ্ছে কভিড-১৯।

আক্রান্ত রোগীদের লালা ও শ্লেষ্মা পরীক্ষা করে চীনা বিজ্ঞানীরা এখন বলছেন, নভেল করোনাভাইরাস যেভাবে ছড়াচ্ছে, তাতে সার্সের চেয়ে ইনফ্লুয়েঞ্জার সঙ্গেই এর মিল পাওয়া যাচ্ছে বেশি। আগে যেমনটা ভাবা হয়েছিল, তার চেয়েও সহজে এবং দ্রুত গতিতে এ ভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে পারে।

 

 

 

 

আপনি আরও পড়তে পারেন