নাঙ্গলকোটে লাশের কফিন নিয়ে মানববন্ধন

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে দৌলখাঁড় উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আমিনুল হক ফুলমিয়া নামের এক বৃদ্ধের জানাযার আগে লাশের কফিন নিয়ে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী। শুক্রবার (১৩ মার্চ) সকাল ১০টা দৌলখাঁড় উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়। পরে জানাযা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।

নিহত আমিনুল হক ফুলমিয়া (৫৫) উপজেলার দৌলখাঁড় গ্রামের উত্তর পাড়ার মজুমদার বাড়ির মৃত. ফজলুল হকের ছেলে।

মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন, ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম ভূঁইয়া, ইউপি সদস্য আব্দুর ছাত্তার, সাবেক মেম্বার জামাল উদ্দিন ভূঁইয়া, ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মোশারফ হোসেন মশু, ইউপি যুবলীগ সভাপতি আবুল হাশেম ভূঁইয়া মানিক প্রমূখ।

উল্লেখ্য, গত ৭ ফেব্রুয়ারি সকালে মসজিদ নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে প্রতিপক্ষ হামলা চালিয়ে কুপিয়ে ৫ জনকে আহত করে। আহতরা হলেন, ওই গ্রামের আমিনুল হক ফুলমিয়া, আবুল কাশেম লিটন, আব্দুল আজিজ সোহাগ, এনামুল হক গেয়াস ও শিহাব উদ্দিন মজুমদার।

আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয়রা নাঙ্গলকোট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। আশংকাজনক অবস্থায় আমিনুল হক ফুলমিয়াকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। সেখানে অবস্থার অবনতি ঘটলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ১১ মার্চ রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

এ ঘটনায় নিহতের ছোট ভাই আব্দুল গোফরান বাদি হয়ে মোজাম্মেল হোসেন শিমূল, কবির মজুমদার, মইনুল হোসেন শিবলু, হুমায়ন কবির জুলহাস ও ঢালুয়া ইউপির শিহর চিয়রা গ্রামের আব্দুল মতিনের ছেলে ইকবাল হোসেনসহ ১৪ জনকে আসামি করে নাঙ্গলকোট থানায় মামলা দায়ের করেন।

এ ঘটনায় আমিনুল ইসলাম ফুলমিয়ার মৃত্যু হলে অভিযুক্তরা গা ঢাকা দেওয়ায় তাদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

এ বিষয় নাঙ্গলকোট থানার ওসি মো. বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, এ ঘটনায় মামলা হলে ৩ আসামিকে গ্রেফতার করি, অন্য আসামিরা জামিনে রয়েছে। যেহেতু এক ভিকটিম মারা গেছে ওই মামলাটি হত্যা মামলায় অন্তর্ভুক্ত হবে। মামলার তদন্ত চলমান রয়েছে।

আপনি আরও পড়তে পারেন