বঙ্গবন্ধুর খুনী মাজেদের নাতি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক!

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের হাতে গড়া সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের একটি উপজেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক হিসাবে দায়িত্বে আছেন খোদ বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা খুনীর নাতি! ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মুজিবউল্লাহ পলাশ বঙ্গবন্ধুর খুনী মাজেদের নাতি। পলাশ উপজেলা ছাত্রলীগের এত বড় নেতা হওয়ার পর এলাকায় সমালোচনা হলে কমিটি স্থগিত রাখা হয়। এরপর আবার প্রভাবশালীদের চাপে সে স্বপদে বহাল হয়ে যায়। এই পরিবারে সরকারি চাকরি করেন এমন নারীও আছে বলে জানা গেছে।

সোমবার (৬ এপ্রিল) রাতে বঙ্গবন্ধুর খুনী মাজেদ গ্রেফতার হওয়ার বহু আগে থেকেই ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলা শাখা ছাত্রলীগের সাধারপণ সম্পাদক হিসাবে আছে মাজেদের নাতি মাজে উল্লাহ পলাশের নাম।

জানা যায়, যে কমিটির সাধারণ সম্পাদক মুজিব উল্যাহ পলাশ মিয়া, সেই কমিটি একবার স্থগিত করা করা হয়েছিল। পরে একটি প্রভাবশালী মহলের চাপে সেই কমিটি আবার বহাল করা হয়। খুনি মাজেদ গ্রেফতারের খবরে বোরহানউদ্দিনের চায়ের কাপে ফের ঝড়, এবার সেই প্রভাবশালী মহলের স্বরূপ উন্মোচন করা হোক, যারা দীর্ঘদিন বঙ্গবন্ধুর খুনি মাজেদের পরিবারকে ভয়ঙ্কর রকমের পৃষ্ঠপোষকতা করে যাচ্ছেন।

এলাকায় এখন এটাও বলাবলি হচ্ছে, খুনি মাজেদের পরিবারের এক নারী সদস্যকে সরকারি প্রাইমারি স্কুলের চাকরিও পাইয়ে দেয়া হয়েছিল। পরে এলাকার মানুষের আপত্তির মুখে ও গোয়েন্দা প্রতিবেদনের ভিত্তিকে তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়।

এ বিষয়ে ভোলা জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. রিয়াজ মাহমুদ প্রথমে জানেন না বলে দাবি করলেও পরে বলেন, ‘এই কমিটি আমরা দেইনি। আমরা কিছু করতে পারি না’।

আবার তাকে কল করা হলে তিনি জানান, ‘মুজিব উল্যাহ পলাশ খুনি মাজেদের নাতি না। কোটা লাগাইন্না নাতি হতে পারে’। ক্ষিপ্ত হয়ে সাংবাদিককে ধমকে তিনি বলেন, ‘আমরা কমিটি দিছি আমরা জানি না। আপনি কী জানেন?’

ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় গণমাধ্যমকে জানান, ‘আমরা দুপুরে এ তথ্য পেয়েছি। এটি খুবই দুঃখজনক। আমাদের সময় কমিটির আগে সে নেতা হওয়ায় আমরা বিস্তারিত জানি না। এখন খবর নেয়া হচ্ছে। এ ঘটনার সঙ্গে কে কে জড়িত তা আমরা খুঁজে বের করব। তাদের শাস্তির আওতায় আনব’।

 

আপনি আরও পড়তে পারেন