কর্ম চঞ্চল্যতায় ফিরতে শুরু করেছে মোংলা ইপিজেডে,  কাজে ফিরেছে শত শত শ্রমিক।

 
মোঃসুজন মোংলা প্রতিনিধি। 
করোনা দূর্যোগে অর্থনৈতিক স্থবিরতার মধ্যে মোংলা ইপিজেডে একে একে  চালু হতে শুরু করেছে কয়েকটি বিদেশী প্রতিষ্ঠান। টানা ২৭ দিন বন্ধ থাকার পর জরুরি ভিত্তিতে ব্যক্তিগত সুরক্ষা পোশাক (পিপিই)সহ অন্য পোশাক তৈরির উদ্দেশ্যে কারখানা গুলো সম্প্রতি চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কতৃপক্ষ। এর প্রেক্ষিতে  কাজে যোগ দিয়েছেন কয়েক শত শ্রমিক। করোনার কারনে  কতৃপক্ষ  তাদের সাস্থ্য সুরক্ষায় যথাযথ পদক্ষেপ নেয়ায় তারা স্বেচ্ছায় কাজে যোগ দিয়েছেন।
এ বিষয়ে শ্রমিকরা বলেন, অনেকদিন  যাবৎ কোম্পানি বন্ধ ছিলো, এতে গৃহবন্দী হয়ে অনেকটা বেকার সময় কাটাচ্ছিলেন তারা। তবে কম্পানিগুলো আবারও চালুর হতে শুরু করলে তারা সেচ্ছায়  কাজে যোগ দিয়েছেন বলে জানান  শ্রমিকরা। তাদের দাাবি,  কম্পানি পক্ষ থেকে স্বাস্থ্য  বিধি মেনে সামাজিক দূরত্ব   বজায় রেখে কাজ  করানো হচ্ছে। এসব প্রতিষ্ঠানে পি পিই,মাস্ক তৈরি করা হবে তাই তারা দেশ ও সরকারের পাশে থাকার  জন্য  কাজে যোগ দিয়েছেন।
করোনা বিধিনিষেধে গত ২৬ মার্চ থেকে  সম্পূর্ণ বন্ধ ছিল মোংলা ইপিজেডের ২৩টি ফ্যাক্টরি। আর এরই মধ্যে লেঅফের ঘোষনাও দিয়েছেন মোংলা ই,পি,জেড এর ৭ টি বিদেশী প্রতিষ্ঠান। তবে গত ১০ এপ্রিল জনপ্রশাসন মন্ত্রনালয় থেকে রপ্তানি মুখী শিল্প প্রতিষ্ঠান গুলো খুলতে পারবে এমন সিদ্ধান্ত আসলে একে একে খুলতে শুরু করেছে মোংলা ই,পি,জেড এর রপ্তানি মুখী প্রতিষ্ঠান গুলো।
এ বিষয়ে মহাব্যবস্থাপক, (জনসংযোগ)মোংলা ইপিজেড নাজমা বিনতে আলমগীর,   বলেন,সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে জরুরি রপ্তানি মুখী পন্য ও কিছু কোম্পানি আছে যারা পিপিই মাস্ক  তৈরি করে তাদের কোম্পানি খোলা রাখার অনুমতি দিয়েছেন।যাতায়াতের জন্য  কোম্পানির নিজস্ব গাড়ি গুলোয়  যখন কর্মীদের উঠানো হয় তখন তাদের শরিরের তাপমাত্রা নির্ণয় করে   নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে   নির্দিষ্ট  সংখ্যক কর্মী এক বাসে নিয়ে যাতায়াত করানো হয় ।কোম্পানির সামনে আসলে সাবান বা হ্যান্ড সেনেটারি দিয়ে হাত জীবাণু মুক্ত করানো হয়।হাতে গ্লপস,মাস্ক,এবং নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে কর্মীদের কাজ করানো হচ্ছে ।কর্মীদের যদি শরিরে  তাপমাত্রা বেশি বা সর্দি কাশি ও করোনা সংসৃষ্ট  কোন লক্ষন দেখা যায় তাহলে ইপিজেড এর নিজস্ব স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়।তবে কেউ যদি এই দূর্যোগের  সময় কাজে না আসতে চায় তাহলে তাদের জোর করে কাজে নেওয়া হবে না আর এসময় জদি কোন কর্মী কাজে না আসে তাহলে চাকুরী থেকে বহিষ্কার করা হবে না এই দূর্যোগ শেষে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানে পূনরায় কাজে অংশগ্রহণ করতে পরবেন এবং সকোল বিষয়ে  প্রতিনিয়ত মনিটরিং করা হচ্ছে।

আপনি আরও পড়তে পারেন