মাদ্রাসা ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্তের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি

ফেনীতে ডাকাতির সময় পরিবারের সবাইকে হাত-পা বেঁধে অস্ত্রের মুখে, এক মাদ্রাসা ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে সোহাগ নামে একজনকে গ্রেফতারের পর আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয় সে।

চোখের সামনে ডাকাতরা কিশোরী মেয়ের উপর পাশবিক নির্যাতনের বর্ণনা দিতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন হতভাগা বাবা। দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাইলেন জড়িতদের।

স্ত্রী ও ৪ সন্তান নিয়ে ফেনীর সোনাগাজীতে ভাড়া বাসায় থাকেন তিনি। গত ২৩শে এপ্রিল রাতে এই বাসায় হানা দেয় ৮-৯ জন মুখোশধারী সশস্ত্র ডাকাত দল। এক পর্যায়ে, পরিবারের সবার হাত-পা বেঁধে, তাদের সামনেই পঞ্চম শ্রেণি পড়ুয়া মাদ্রাসা ছাত্রীকে ধর্ষণ করে দুর্বৃত্তরা। পরদিন সকালে বিষয়টি সোনাগাজী মডেল থানায় জানালে, পুলিশ মামলা না নিয়ে উল্টো ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করে। পরে জেলা পুলিশ সুপারকে বিষয়টি জানানো হয়। পুলিশ সুপার ঘটনা জেনে ওসির গাফিলতির সত্যতা পেয়ে তাকে প্রত্যাহার করেন।

স্থানীয়রা বলেন, আমাদের এখানে আসছে আমরা থানার লোক। এই ঘটনাটি প্রথম নয় তাদের বিচার না হওয়ায় এমন ঘটনা প্রতিনিয়ত ঘটছে

ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে যোবায়ের ইসলাম সোহাগ নামের এক ডাকাতকে সোমবার রাতে গ্রেফতার করে পুলিশ। মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) জেলা আদালতে হাজির করা হলে, ১৬৪ ধারায় দেয়া জবানবন্দিতে সে ঘটনার কথা স্বীকার করে।

ফেনীর পুলিশ সুপার খোন্দকার নুরুন্নবী বলেন, তাদের নাম উল্লেখ করে মামলা হয়েছে। আমরা অচিরেই বাকিদের গ্রেফতার করব তাদের।

ফেনী আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালে ভুক্তভোগী কিশোরীর ডাক্তারি পরীক্ষা শেষে আদালতে তার জবানবন্দি গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ

আপনি আরও পড়তে পারেন