করোনাজয়ী আইনজীবী জানালেন ওষুধের নাম আর খাদ্যতালিকা

 

হঠাৎ অসুস্থ। এরপর পরিবারের অন্য সদস্যদের মধ্যেও দেখা দেয় করোনার উপসর্গ। স্ত্রী ও দুই সন্তানের করোনা পরীক্ষা করা হয় স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল হাসপাতালে। পরে মহাখালীর রোগতত্ত্ব, নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) থেকে জানানো হয়, শুধু রশিদ মোল্লা করোনায় আক্রান্ত। খবর শুনে চিন্তায় পড়ে যান সবাই।

তবে নিয়ম মেনে পরিবার থেকে আলাদা থাকেন। আর এখন তো চিকিৎসকদের কাছ থেকে চিকিৎসা নিয়ে এখন দিব্যি সুস্থ আছেন। বলছিলাম করোনাজয়ী আইনজীবী রশিদ মোল্লার কথা।

ঢাকা আইনজীবী সমিতির নিয়মিত সদস্য তিনি। দীর্ঘদিন যাবৎ আদালতে প্র্যাকটিস করছেন। করোনা থেকে সুস্থতার বিষয়ে গণমাধ্যমকে বললেন রশিদ মোল্লা, ‘করোনায় আমি চিকিৎসকের নির্দেশনা অনুযায়ী ওষুধ সেবন করেছি। একই সঙ্গে কিছু নিয়মকানুন ফলো করেছি। নিয়মিত ওষুধ যেমন নাপা এক্সটেন্ড, রোজিথ (অ্যাজিথরোমাইসিন গ্রুপের ওষুধ), ফেক্সো (ফেক্সোফেনাডিন গ্রুপ), সিভিট, ওরস্যালাইন খেয়েছি। এ ছাড়া গরম পানির মধ্যে লবন ও ভিনেগার দিয়ে বেশি বেশি গারগল করেছি।’

‘এর সঙ্গে আদা, রসুন, লবঙ্গ, এলাচি, গোলমরিচ, তেজপাতা ও কালো জিরা একটু ছেঁচে পানি ফুটিয়ে ওই পানির বাষ্প নাকেমুখে টেনেছি। এই বাষ্পটা টানার জন্য মাথায় গামছা হাত দিয়ে এমনভাবে ধরতে হবে যাতে বাষ্পটা পুরোটাই নাকেমুখে লাগে। এরপর আদা জাতীয় গরম পানি, লেবুর রস আর সরিষার তেলে মধু মিশিয়ে খেয়েছি।’

আইনজীবী রশিদ বলেন, ‘এরপর গরম পানির মধ্যে গামছা ভিজিয়ে হালকা চিপে নাকে চেপে ধরে টেনেছি। তাতে নাকের ভিতরের কফ জাতীয় পদার্থ বেরিয়ে এসেছে। সবসময় গরম পানি খেয়েছি। গরম পানি দিয়ে গোসল করেছি। ব্যবহৃত কাপড়চোপড়, চাদর, বালিশের কভার প্রতিদিন ফুটন্ত পানি ও ডিটার্জেন্ট দিয়ে পরিষ্কার করেছি। বাথরুমে বার বার ফুটন্ত পানি ঢেলেছি। তিনি বলেন, এ ছাড়া রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এমন ফলমূল খেয়েছি প্রচুর। মাল্টা, আনারস, মাছ, মাংস, ডিম বেশি বেশি খেয়েছি।

আইনজীবী রশিদ বলেন, ‘আর সবচেয়ে বেশি আল্লাহকে ডেকেছি। আল্লাহ আমাদেরকে মাফ করেছেন। তিনি আরো বলেন, শারীরিকভাবে আমি সুস্থ। কিন্তু আমাকে আর নতুন করে কোনো পরীক্ষা করা হয়নি। আমার পরিবারের তিনজনের করোনা পরীক্ষার টেস্টের রিপোর্ট ২১ দিন পার হলেও জানতে পারলাম না। এখনো আতঙ্কে আছি। তবে সুস্থতা বোধ করছি।’

 

 

আপনি আরও পড়তে পারেন