দোহারে পরক্রিয়া প্রেমে ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা প্রবাসীর স্ত্রী, অতঃপর প্রেমিকের সাথে বিয়ে

 

 নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ

ঢাকার দোহারের আন্তা গ্রামে পরক্রিয়া প্রেমে পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে (কাতার প্রবাসীর) স্ত্রী গত সপ্তাহে বিয়ে করেছে তার প্রেমিক একই এলাকার মুসলেম উদ্দিনের ছেলে মামুনকে। এ ঘটনায় জনমনে নানান গুঞ্জনের সৃষ্টি হয়েছে। জানা যায়, উপজেলার নয়াবাড়ি ইউনিয়নের আন্তা গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটেছে। গত শনিবার (৩০-০৫-২০২০ ইং) উপজেলার জয়পাড়া ক্লিনিকের মহিলা বিষয়ক এমবিবিএস ডা. ডি.এন লাভলী আল্ট্রাস্নোগ্রাফির মাধ্যমে ঐ মহিলার অন্তঃসত্ত্বার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এ বিষয়ে আলোচনার ঝড় উঠেছে সমাজের প্রতিটি স্তরে। অন্তঃসত্ত্বা ঐ নারী আন্তা (বাগের কাছা) গ্রামের দলিল উদ্দিনের ছেলে (কাতার প্রবাসী) সুজনের স্ত্রী মেহেরুন নেছা (বৈশাখী)। তিনি উপজেলার দোহার পৌরসভার দক্ষিণ জয়পাড়া গ্রামের মজিবর রহমানের মেয়ে। এনিয়ে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে ঐ এলাকায়। বৈশাখীর শ্বশুর, শ্বাশুড়ি জানান, আমাদের ছেলেকে পারিবারিক ভাবে সামাজিক ও ইসলামী শরিয়ত রীতিনীতি মেনে ১৪ মাস আগে ঐ মেয়ের সাথে বিয়ে করিয়ে আমাদের বাড়িতে এনেছি। অল্প কিছু দিনের মধ্যে আমাদের ছেলে প্রবাসে চলে যায়। বর্তমানে প্রায় এক বছরের মত হবে আমাদের ছেলে প্রবাসে অবস্থান করছে৷ কিন্তু গত তিন মাস যাবত আমাদের ছেলের স্ত্রীর মাসিক হচ্ছে না। এছাড়া গর্ভবতী হওয়ার কিছু লক্ষণ দেখা দিলে আমরা তার বাবা মা কে বিষয়টি জানাই এবং একজন পল্লী চিকিৎসকের নিকটে নিয়ে গেলে তিনি বলেন, গর্ভবতী হয়েছে বলে মনে হচ্ছে আপনারা হাসপাতালে গিয়ে পরিক্ষা করে দেখেন। হাসপাতালে পরিক্ষা করার পরে জানতে পারি তিনি ২০ সপ্তাহ ৬ দিনের ৩৭৫ গ্রামের একটি সন্তান গর্ভে ধারণ করে চলছে। বিষয়টি তার পরিবারকে জানালে তার মা, খালা ও মামা এসে তাকে নিয়ে যায়। প্রবাসী সুজনের সাথে মুঠোফোনে কথা বললে, তিনি জানান, আমার বিদেশ থেকে পাঠানো প্রায় তিন লক্ষ টাকা ও পাঁচ ভরি স্বর্নালংকার তিনি নিয়ে চলে গেছে। এখন শুনতেছি সে আবার নাকি বিয়ে করেছে তার প্রেমিক কে। আমি আপনাদের মাধ্যমে ঐ প্রতারক নারী তার প্রেমিক মামুনের বিচার চাই। বৈশাখীর মা ও বাবা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমরা আমাদের মেয়েকে বাসায় এনে এ বিষয়ে জানতে চাইলে, তিনি আন্তা গ্রামের মুসলেম উদ্দিনের ছেলে মামুনের কথা বলে। পরে আমার মেয়েকে দিয়ে মামুনকে আসতে বললে তিনি আসেন। আসার পরে তাকে আটক করে তার পরিবারকে আসতে বলি এবং তারা আসে অতঃপর ছেলে মেয়েকে দিয়ে বিয়ে করিয়ে দেয়া হয়। মামুনের বাড়িতে গেলে পরিবারের কারও সাথে দেখা মেলেনি। বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে সকলে। মুঠোফোনে মামুনের সাথে কথা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, আমি নিয়মনীতি মেনেই বিয়ে করেছি। এ বিষয়ে আমি আর কিছু বলতে চাই না। এ বিষয়টি এখন টপ অফ দ্যা টাউনে পরিনত হয়েছে। এবিষয়ে স্থানীয়রা জানান, এ ধরনের ন্যাক্কারজনক ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই এবং অনতিবিলম্বে অপরাধীদের দোষী সাবস্ত করে আইনের আওতায় আনা হোক। এই ঘটনার সঠিক বিচার করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করা হোক যাতে সমাজের আর কেউ এ ধরনের কাজ করার সাহস না পায়।

আপনি আরও পড়তে পারেন