দোহারে দুই শিক্ষার্থী একই প্রেমিকাকে ভালোবাসার দ্বন্দে প্রতিবেশী নিহত

দোহার(ঢাকা)প্রতিনিধি:

দোহার উপজেলায় দুই শিক্ষার্থীর একই প্রেমিকাকে ভালোবাসার দ্বন্দের জেরে হামলার ঘটনায় প্রতিবেশী এক যুবক নিহত হয়েছেন।এ ঘটনার উত্তেজিত এলাকাবাসী বহিরাগতদের ফেলে যাওয়া সাতটি মটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেয়।
সংবাদ পেয়ে পুলিশ পরিস্থিতি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন এবং ঘটনাস্থল থেকে দুইজনকে আটক করা হয়।নিহত হলেন উপজেলার মুকসুদপুর ইউনিয়নের মইতপাড়া গ্রামের সাবেক মেম্বার আব্দুর রশিদের ছেলে শেখ রাসেল(৩২)।সে এক সময়ে ইটালীতে প্রবাসী হিসাবে ছিলো।

প্রত্যাক্ষদর্শীরা জানান,সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার মইতপাড়া খালপাড় এলাকার মোবারক খলিফার ছেলে মনির হোসেনের সাথে একই এলাকার সাদেক ভুইয়ার ছেলে সোয়ান ও তার বন্ধুদের সাথে ঝগড়া বাধে।এ ঘটনায় সোয়ানের পক্ষে আসা তার সহপাঠিরা মনিরের উপর হামলা চালালে প্রতিবেশী রাসেল থামাতে আসলে প্রতিপক্ষের হামলায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন।বিষয়টি স্থানীয়রা দেখে উত্তেজিত হয়ে হামলাকারীদের ধাওয়া দিলে তারা সবাই মটর সাইকেল ফেলে পালিয়ে যায়।এ সময়ে স্থানীয়রা আহত রাসেলকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন।সংবাদটি দ্রুত মইতপাড়া গ্রামে ছড়িয়ে পড়লে উত্তেজিত জনতা তাদের ফেলে রাখা মটরসাইকেলগুলোতে আগুন ধরিয়ে দেয়।সংবাদ পেয়ে পুলিশ-র‌্যাব ঘটনাস্থলে পৌছে টানা দুইঘন্টাব্যাপি অভিযান চালিয়ে সবাইকে ছত্রভঙ্গ করে দেয় এবং দু্ই জনকে আটক করেন।সংবাদ পেয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে দোহার সার্কেল এএসপি জহিরুল ইসলাম,দোহার থানা ওসি(তদন্ত)আরাফাত রহমান,ফুলতলা পুলিশ ফাড়িঁর জাহাঙ্গীর আলম,র‌্যাব-১১এর সদস্যরাসহ মুকসুদপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল হান্নান খান ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। দোহার ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ঘটনাস্থানে গিয়ে মটরসাইকেলের আগুন নিয়ন্ত্রনে আনেন এবং মটরসাইকেল থানায় নিয়ে আসা হয়।

জানা যায় দুই শিক্ষার্থী(মনির ও সোয়ান) একই প্রেমিকাকে ভালোবাসার দ্বন্দের জেরে হামলার ঘটনায় প্রতিবেশী যুবক নিহত হয়েছেন এবং এরা উভয়েই মালিকান্দা-মেঘুলা স্কুল এন্ড কলেজের ১ম বর্ষের শিক্ষার্থী।রাখি নামে এক মেয়ের সাথে প্রেমের সম্পর্ক ছিল মনিরের। মনিরের বন্ধু সোহান রাখির কাছে মনিরের নামে ভুলভাল বুজানোর জের ধরে মনির সোহানকে মারপিট করে রোববার।
দোহার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত ডা. ওমর ফারুক জানান, মৃতের শরীরে আঘাতের কোন চিহ্ন নেই। হাতাহাতির ঘটনায় হয়তো স্টোক করে করে মারা যেতে পারে। ময়নাতদন্ত শেষে সঠিক তথ্য পাওয়া যাবে।

আপনি আরও পড়তে পারেন