তীব্র স্রোতে এখনও ডুবছে একের পর এক লোকালয়। ভেসে গেছে বাড়িঘর, স্কুল, ফসলি জমি। সব হারিয়ে দিশেহারা বানভাসিরা। টানা দেড় মাসের বন্যায় নাকাল ১৮টি জেলার মানুষ। আয় রোজগার না থাকায় দেখা দিয়েছে খাবারের সঙ্কট। এমন পরিস্থিতিতেও দুর্গত এলাকায় এখনো পৌঁছায়নি পর্যাপ্ত সরাকারি ত্রাণ।
তীব্র স্রোতে এখনো লোকালয়ে ঢুকছে পানি। বাড়ছে পানিবন্দি মানুষের সংখ্যা। তীব্র হচ্ছে মানুষের দুর্ভোগের মাত্রাও।
জামালপুররের ইসলামপুরের ৭০ বছরের বৃদ্ধা অমিছা বেগম চরম দুশ্চিন্তায় ঠায় বসে আচেন রাস্তায়। জামালপুরে বন্যার চিত্র আরো ভয়াভয় হচ্ছে। বাড়িরঘর রাস্তা ঘাট তলিয়ে আছে পানির নিছে। গবাদিপশু নিয়ে রাস্তার পাশে ও কেন্দ্রগুলোতে ঠাই নিয়েছেন দুর্গতরা।
ফরিদপুর
ফরিদপুরে বসতঘর পানির নিচে তাই পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ঠাই হয়েছে খোলা আকাশের নিচে। নেই দুমুঠো খাওয়ার নিশ্চয়তাটুকু।
সিরাজগঞ্জ
সিরাজগঞ্জের ছাতিয়ানতলি গ্রামের ফরিদা বেগম। ঘরে হাটু পানি তাই পরিবারের সদস্যরা বাঁধের উপরে আশ্রয় নিলেও নিজের শেষ সম্বলটুকু রক্ষায় যাননি তিনি। ঝুঁকি নিয়ে মাচায় থাকছেন তিনি।
মানিকগঞ্জ
ঢাকার পাশের জেলা মানিকগঞ্জের সাত উপজেলায় পানি ঢুকে প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা। রাস্তাঘাট তলিয়ে থাকায় এভাবেই যেতে হচ্ছে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে। পানির নিচে নলকূপ, বাথরুম ডুবে যাওয়ায় চরম বিপাকে বানভাসীরা।