দেশে প্রতিবছর সড়কে ঝরে গড়ে ২৩ হাজার প্রাণ

পরিবহন দুর্ঘটনায় হতাহতদের মধ্যে শতকরা ২৫ শতাংশ লোকই উপার্জনক্ষম। বিশ্বব্যাংকের তথ্যমতে, জিডিপিতেও ৩ থেকে ৫ শতাংশ ঘাটতি তৈরি করে সড়ক দুর্ঘটনা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি জাতীয় উন্নয়নে প্রধান বাধা। বিআরটিএর দাবি, সড়ক পরিবহন আইন বাস্তবায়ন হলে দুর্ঘটনা অনেকাংশেই কমে আসবে।

গাজীপুরের দুলাল মিয়া, দুর্ঘটনার শিকার হয়ে চিকিৎসাধীন। চিকিৎসকরা জানান, আপাতত প্রাণে বেঁচে গেলেও আহত লোকটি স্বাভাবিক জীবনে কবে ফিরবে তা বলা সম্ভব নয়। এ পরিবারের কাছে দুর্ঘটনাটি যেন সারা জীবনের কান্না হয়েই এসেছে।

পরিবহনগুলোও কাঙ্ক্ষিত সময়ের আগেই নষ্ট হওয়ায় বিরাট অঙ্কের আর্থিক ক্ষতি হয়। বিশেজ্ঞরা বলছেন, এতে শুধু ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের একক ক্ষতিই নয়-দীর্ঘমেয়াদে প্রভাব পড়ে দেশজ মোট উৎপাদন বা জিডিপিতেও।

বুয়েট এআরআই সহকারী অধ্যাপক মো. সাইফুন নেওয়াজ ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ কর্মক্ষম মানুষ দুর্ঘটনার স্বীকার হন। এ কর্মক্ষম মানুষগুলোর জন্য দেসের অনেক ক্ষতি হচ্ছে।

বিশ্বস্বাস্থ্য ও বিশ্বব্যাংকের তথ্য মতে, বাংলাদেশে গড়ে প্রতিবছর সড়ক দুর্ঘটনায় জন নিহত কমপক্ষে ২৩ হাজার মানুষ।

বিআরটিএ জানায়, সড়ক মহাসড়কে অবৈধ গাড়ি চলাচল, চালক-গাড়ির নানা দুর্বলতা, চালক- যাত্রী-পথচারীদের আইন অমান্য করার প্রবণতার সাথে রাস্তার অবকাঠামোগত ত্রুটির কারণেও সড়ক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠে।

বিআরটিএ পরিচালক মো. মাহবুব ই রাব্বানী বলেন, বিভিন্ন অবৈধ নসিমন, করিমন ঢুকে পড়েছে। এসবের কারণেও অনেক দুর্ঘটনা ঘটছে।

নিয়ন্ত্রণের ভার বিআরটিএর হলেও আইন প্রয়োগ করে পুলিশ। অন্তত এ দুটি সংস্থার মধ্যে সমন্বয়হীনতা ও আন্তরিকতার অভাব থাকলে সুফল পাওয়া সম্ভব নয় বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।

আপনি আরও পড়তে পারেন