চে গুয়েভারার সাজে মেসি!

লিওনেল মেসি আর বার্সেলোনা। পরস্পরের সম্পর্কটা যেন আত্মার। আর্জেন্টিনার রোজারিওতে জন্ম নেয়া লিওনেল মেসিকে বিশ্ব চিনেছে স্প্যানিশ ক্লাব বার্সেলোনার মাধ্যমেই। মাত্র ১৩ বছর বয়সে বার্সেলোনার যুব ফুটবল একাডেমি লা মাসিয়ার সঙ্গে যাত্রা শুরু তার। তখনো কে জানতো এই ছোট্ট মেসিই একদিন হয়ে উঠবেন বিশ্ব কাঁপানো এক ফুটবল তারকা!     

একে একে কেটে গেছে ২০ বছর। স্পেনের শহর বার্সেলোনার সঙ্গে যে আত্মিক বন্ধন মেসির তাতে একটুখানি চিড় ধরেছে। সম্পর্ক ছিন্ন হওয়ার অপেক্ষায়। কারণ তো একটাই, মেসির বার্সেলোনা ছেড়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত। বাতাসে ভেসে বেড়াচ্ছে মেরি বার্সা ছেড়ে যাওয়ার গুঞ্জন। তবে এই গুঞ্জন সত্যি হতে পারে যেকোনো সময়। কেননা মেসি নিজেই যে বুরোফ্যাক্সে জানিয়ে দিয়েছেন বার্সা ছাড়ার কথা। যাচ্ছেন না অনুশীলনেও।

এমন ঘোষণার পর গণমাধ্যমগুলো চুলচেরা বিশ্লেষণে ব্যস্ত। এই ঘটনাকে বহু দিনের জমানো ক্ষোভের পরিণতি মনে করছে গণমাধ্যমগুলো। স্প্যানিশ জনপ্রিয় ফুটবল পত্রিকা মার্কা লিখেছে, মেসি বার্সার বিপক্ষে যুদ্ধে যাচ্ছে।

মেসি বিদায় নিবেন। কিন্তু তার জন্য ভক্ত-সমর্থকরা কি চুপ করে থাকবেন? তা কি হয়?

বিখ্যাত ইতালিয়ান চিত্রশিল্পী সালভাদর বেনিনতেন্দে, যিনি টিভি বয় নামে সবচেয়ে বেশি পরিচিত। তিনি মেসিকে বিদায় জানিয়ে বিপ্লবী চে গুয়েভারার আদলে দুর্দান্ত একটি পোস্টার তৈরি করেছেন। যেটি তিনি টাঙিয়ে দিয়েছেন বার্সেলোনার সিটি সেন্টার প্লাজা কাতালুনিয়ার সামনে একটি ক্যাবল বক্সে। এই চিত্রকর্মের নাম দিয়েছেন, গুডবাই কমান্ডার।

বার্সেলোনা পথেঘাটে বিপ্লবী চে-গুয়েভারার সাজে মেসির এমন ছবি নজর কেড়েছে সবার। পুরো ছবিতে চে গুয়েভারার পোশাক। চে’র মতো মেসির মুখের কোণে ধরা একটি চুরুট। মাথায় বিপ্লবের টুপি এবং বুকে ঝোলানো একটি রোদ চশমা। এর পাশাপাশি প্যান্টে রয়েছে বার্সার লোগো। মেসির মাথার পেছনে একটি লাল রঙয়ের ভালোবাসার প্রতীক ‘হার্ট’-এর শেপ। সব মিলিয়ে টিভি বয় মেসিকে সম্মান জানিয়েই তার নিজের চিত্রকর্মটি তৈরি করে বার্সার রাজপথে সবার সামনে উন্মুক্ত করে দিয়েছেন।

নতুন এক সাজে মেসিকে দেখে বার্সেলোনার অধিবাসীরা থমকে দাঁড়িয়েছেন ঠিক। অনেকেই এর সামনে দাঁড়িয়ে ছবি তুলতেও ভুল করেননি।

মেসি বার্সায় থাকবেন নাকি ছেড়ে যাবেন? এ প্রশ্নের সদুত্তর নিয়ে জল ঘোলা হচ্ছে প্রতিনিয়তই। তবে মেসির প্রতি যে ভালোবাসার নিদর্শন বিন্দুমাত্র কমেনি নতুন এই চিত্রকর্ম অন্তত সে কথাই মনে করিয়ে দেয়।

আপনি আরও পড়তে পারেন