ক্লাব ফুটবলে দলবদলের বাজার সংকুচিত

করোনা ভাইরাসের জন্য এ মৌসুমে ইউরোপিয়ান ক্লাব ফুটবলের বাজার ২০ থেকে ৩০ শতাংশ সংকুচিত হবে। এমন শঙ্কার কথা জানিয়েছেন ইউরোপিয়ান ক্লাব অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আন্দ্রে অ্যাগনেলি। তিনি বলেন কোভিড-১৯ এর জন্য যে ধাক্কা খেয়েছে ফুটবলের আন্তর্জাতিক বাজার তা সহসাই কাটিয়ে উঠা সম্ভব নয়, তবে ক্লাবের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে সব ধরনের চেষ্টা করা হচ্ছে।

ট্রান্সফার উইন্ডোর এই সময়টা অন্যরকম ব্যস্ততায় কাটে ইউরোপের ক্লাবগুলোর। তবে এবারের চিত্র কিছুটা আলাদা। প্রয়োজন থাকলেও আর্থিক সংকটের কারণে অনেক ক্লাবই প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামতে পারছে না দলবদলের বাজারে। আবার যারা ইতোধ্যেই ট্রান্সফার শেষ করেছে, তারাও শঙ্কিত সামনের দিনগুলো নিয়ে।

গবেষণা বলছে করোনা ভাইরাসের জন্য বেশ বড়সড় ক্ষতির মুখে পড়েছে ইউরোপের ক্লাব। সম্প্রচার মাধ্যমের লভ্যাংশ কর্তন ও পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠানের ব্যয় সংকোচন নীতিতে বেশ বিপাকে বড় দলগুলো। অর্থের হিসেবে যার পরিমাণ প্রায় ৪ বিলিয়ন ইউরো। যে প্রভাব এ মৌসুমে সরাসরি পড়েছে দলবদলের বাজারে।

ইউরোপিয়ান ক্লাব ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান আন্দ্রে অ্যগনেলি বলেন, ‘আমাদের ট্রান্সফার মার্কেট সংকুচিত হয়েছে। সেটা প্রায় ২০ থেকে ৩০ শতাংশের মত। যার প্রভাব পড়েছে এ মৌসুমের দলবদলে। প্রত্যেক বছর ক্লাবগুলো যে পরিমাণ আয় করে এবার তা পারেনি। উল্টো অনেক ক্লাবই বিশাল ক্ষতির মুখে পড়েছে। এই তালিকায় ছোট দলের চেয়ে বড় দলের সংখ্যা বেশি। আমরা চেষ্টা করছি কি ভাবে তাদের পাশে থাকা যায়।’

এদিকে, করোনা পরবর্তী সময়ে মাঠে ফুটবল ফিরলেও, ফেরা হয়নি সমর্থকদের। যার নেতিবাচক প্রভাব পড়ে ক্লাব ফুটবলের অর্থনীতিতে। এই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে এবার দর্শক প্রবেশের অনুমতি দিচ্ছে উয়েফা। সব কিছু ঠিক থাকলে আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর বায়ার্ন মিউনিখ এবং সেভিয়ার মধ্যকার সুপার কাপের ম্যাচটি সমর্থকরা উপভোগ করতে পারবেন মাঠে বসে।

তিনি আরো বলেন, ‘দর্শক ছাড়া ফুটবল ভাবা যায় না। তবে এটাই হয়ে আসছে। পরিস্থিতি আমাদের সেভাবেই পরিচালিত করেছে। কিন্তু এভাবে তো আর চলতে পারে না। তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি মাঠে দর্শক ফেরাবো। তবে একটা সীমাবদ্ধতার ভেতর দিয়ে আমরা যেতে চাই। এটা হবে পরীক্ষামুলক। পরিকল্পনা সফল হলে বড় পরিসরে বিষয়টা ভেবে দেখা হবে।’

তবে এখনই পুরোপুরি কমপ্যাক্ট স্টেডিয়ামে ম্যাচ আয়োজনের মত আত্মঘাতী সিদ্ধান্তে যাচ্ছে না উয়েফা। ফাইনাল ভেন্যু পুসকাস স্টেডিয়ামের ৩০ শতাংশ দর্শকপূর্ণ থাকবে বলে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

আপনি আরও পড়তে পারেন