শহীদের রক্তের বদলা নেবে আজারবাইজান: প্রেসিডেন্ট

আজারবাইজানকে যারা ভয় দেখানোর চেষ্টা করছে তাদের আফসোস করতে হবে বলে হুঁশিয়ার করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভ।

রোববার (২৭ সেপ্টেম্বর) আর্মেনিয়ার সেনাবাহিনীর ব্যাপক সামরিক উস্কানির পরিপ্রেক্ষিতে তিনি এমন হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।

আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট জাতির উদ্দেশ্যে দেয়া ভাষণে বলেন, আর্মেনিয়ার সশস্ত্রবাহিনী আজারবাইজানের বসতি এবং সামরিক স্থাপনায় বিভিন্ন দিকে থেকে ভারী গোলাবরুদসহ নানাধরনের অস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়েছে।

‘শত্রুর হামলায় সাধারণ নাগরিক এবং আমাদের সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা হতাহত হয়েছে। কিছু মানুষ আহত হয়েছে। আল্লাহ শহীদদের শান্তিতে রাখুন।’ তবে হতাহতের সুনির্দিষ্ট কোনো সংখ্যা তিনি উল্লেখ করেননি।

আলিয়েভ শহীদদের রক্তের বদলা নেয়ার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন। বলেন, আজারবাইজানের সেনাবাহিনী আর্মেনিয়ার সামরিক অবস্থান লক্ষ্য করে প্রতিশোধমূল হামলা অব্যাহত রেখেছে। তাদের অনেক সামরিক সরঞ্জাম ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।

আজারবাইজানে হামলাকে আর্মেনিয়ার ফ্যাসিবাদী চরিত্রের প্রকাশ বলে মন্তব্য করেছেন প্রেসিডেন্ট আলিয়েভ।

আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট বলেন, হামলার পাশাপাশি আজারবাইজানের অঞ্চলে অবৈধ বসতি নির্মাণ করে চলছে আর্মেনিয়া। আলিয়েভ দৃঢ়ভাবে বলেন, আজারবাইজান তার ভূমি রক্ষা করছে। কারাবাখ আজারবাইজানের অন্তর্ভুক্ত।

যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন

জুলাইতে আর্মেনিয়ার সেনাবাহিনী আজারবাইজানের স্থাপনায় গোলা হামলা চালিয়ে ১২ আজারবাইজানি সেনাকে শহীদ করে। এদের মধ্যে শীর্ষ পর্যায়ের এক সেনা কর্মকর্তাও ছিলেন। আহত হয় আরো চার সেনা। এসময় এক বৃদ্ধ বেসামরিক নাগরিকও নিহত হয়।

২১ সেপ্টেম্বর একই জায়গায় আবারো সংঘাত ছড়িয়ে পড়ে। আজারবাইজানের এক সেনা শহীদ হয়। আহত হয় অন্যজন।

১৯৯১ সাল থেকে আর্মেনিয়ার সেনাবাহিনী অবৈধভাবে কারাবাখ দখল করছে। যা আন্তর্জাতিকভাবে আজারবাইজানের স্বীকৃতি অঞ্চল।

নিরাপত্তা পরিষদের চারটি, সাধারণ পরিষদের দুটি প্রস্তাবনা এবং অসংখ্য আন্তর্জাতিক সংস্থা কারাবাখ এবং আজারবাইজানের ভূমি থেকে আর্মেনিয়ার উচ্ছেদ দাবি করলেও কোনো ফল আসেনি।

১৯৯২ সালে সংকটের শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য ফ্রান্সের সভাপতিত্বে রাশিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রকে নিয়ে মিনসক গ্রুপ একটি দল গঠন করে। তাতেও কোনো ফল হয়নি।

আপনি আরও পড়তে পারেন