সিলেট এমসি কলেজ ছাত্রবাসে গণধর্ষণ মামলায় আরও দুই আসামি ছাত্রলীগ নেতা তারেকুল ইসলাম তারেক ও মাহফুজুর রহমান মাসুমের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
শনিবার (৩ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে পুলিশ পাহারায় তাদের সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। তারা দু’জনই ৫ দিনের রিমান্ডে রয়েছেন। সিলেট মহানগর পুলিশের উপ পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) জ্যোর্তিময় সরকার এ তথ্য জানিয়েছেন।
এর আগে, পুলিশ গত বৃহস্পতিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) প্রধান আসামি ছাত্রলীগ নেতা সাইফুর রহমান, অর্জুন লস্কর, রবিউল ইসলাম, শাহ মাহবুবুর রহমান রনি, রাজন মিয়া এবং আইনুদ্দিনের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করে।
এসএমপির এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, ধর্ষণের সঙ্গে তাদের সম্পৃক্ত থাকার বিষয়টি আরও নিশ্চিত হওয়ার জন্য ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করতে ওসমানী মেডিকেলে নেয়া হয়। তবে প্রাথমিকভাবে পুলিশ নিশ্চিত তারা ধর্ষণের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল।
সিলেটের অতিরিক্ত মহানগর হাকিম আদালতে প্রথমে অর্জুন লস্করের এবং পরে সাইফুর রহমানের জবানবন্দি গ্রহণ করেন বিচারক জিয়াউর রহমান। সিলেট সহকারী মহানগর হাকিম আদালতে রবিউল ইসলামের জবানবন্দি গ্রহণ করেন বিচারক সাইফুর রহমান।
প্রসঙ্গত, গত ২৫ সেপ্টেম্বর রাত ৮টা নাগাদ কলেজের ফটকের সামনে বেড়াতে যাওয়া এক তরুণী ও তার স্বামীকে জোরপূর্বক কলেজের ছাত্রাবাসে নিয়ে স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে ধর্ষণ করেন একদল তরুণ। এ ঘটনায় সেদিন রাতেই ধর্ষণের শিকার তরুণীর স্বামী বাদী হয়ে সিলেটের শাহ পরান থানায় ছয় জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত তিন জনকে সহযোগী হিসেবে উল্লেখ করে একটি মামলা দায়ের করেন।