অর্থনীতিতে ‘অপ্রতিরোধ্য’ পথ চলছে চীন

চীনের উহান প্রদেশ থেকে বিশ্বকে ওলট-পালট করে দেয়া করোনা মহামারি শুরু হয়েছে। গত বছরের ডিসেম্বরে মহামারি আকার ধারণ করা করোনায় অনেক দেশ অর্থনীতিতে তলানির মধ্যে আছে। বেড়েছে বেকারের সংখ্যা ইতিহাসের সর্বোচ্চ। কিন্তু সেই চীনই করোনা সংকট সবচেয়ে দ্রুত কাটিয়ে উঠছে। দেশটির সাম্প্রতিক বাণিজ্য পরিসংখ্যান দেখলে বোঝা যায় পুনরুদ্ধারের দৌড়ে কার্যত জয়ী হয়েছে দেশটি।

সেপ্টেম্বরে রপ্তানি প্রবৃদ্ধি ৯ দশমিক ৯ শতাংশ। আমদানি প্রবৃদ্ধি ১৩ দশমিক ২ শতাংশ, বেড়েছে বাণিজ্য উদ্বৃত্তের পরিমাণ। আগস্টে যা ছিল ৩৭ বিলিয়ন ডলার, সেপ্টেম্বরে তা হয়েছে ৫৯ বিলিয়ন ডলার। তাই দেশটিকে বিজয়ী না বলার উপায় কই। সূত্র বিবিসি।

শুরু থেকে এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের করোনা পরিস্থিতিই নিয়ন্ত্রণে আসেনি। যুক্তরাজ্যের বেকারত্বের হার সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। জুন-আগস্ট সময়ে বেকারত্বের হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ দশমিক ৫ শতাংশ। আগের প্রান্তিকে ছিল ৪ দশমিক ১ শতাংশ। এদিকে জাপানের অর্থনীতি আগস্টে রেকর্ড হারে সংকুচিত হয়েছে।

করোনা প্রতিরোধে নেওয়া লকডাউন পদক্ষেপের কারণে অনেক দেশকেই ব্যয় সংকোচনের নীতি নিতে হচ্ছে। সে বিবেচনায় তরতর করে পুনরুদ্ধারের পথে এগিয়ে চলেছে চীন। চলতি বছরে পরাশক্তিগুলোর মধ্যে কেবল চীনই ইতিবাচক প্রবৃদ্ধির ধারায় থাকবে এমন পূর্বাভাসই দেওয়া হচ্ছে।

বিশ্লেষকেরা বলছেন যে ব্যবসায়িক পুনরুদ্ধারই মূল কারণ এই ঘুরে দাঁড়ানোর পেছনে। ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জামসহ, হোম ইলেকট্রনিক পণ্য, মেডিকেল ডিভাইস এবং টেক্সটাইল পণ্যের ব্যাপক আন্তর্জাতিক চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়ায়। তবে বিশ্লেষকেরা এও সতর্ক করেছেন, ধীরে ধীরে এসবের চাহিদা কিছুটা কমতে পারে।

সেপ্টেম্বরের শেষ অবধি অন্য দেশের সঙ্গে চীনের সম্মিলিত আমদানি ও রপ্তানির পরিমাণ ২৩ দশমিক ১২ ট্রিলিয়ন ইউয়ানে পৌঁছেছে।

এদিকে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) বিশ্ব অর্থনীতির জন্য জুনে যে পূর্বাভাস দিয়েছিল, তার চেয়ে কিছুটা কম তীব্র মন্দার পূর্বাভাস দিচ্ছে। মঙ্গলবার (১৩ অক্টোবর) প্রকাশিত আইএমএফ ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক আউটলুক এ তথ্য প্রকাশ করা হয়। যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, জার্মানি, জাপান, যুক্তরাজ্যে ঋণাত্মক বা মাইনাস প্রবৃদ্ধি হতে পারে। কেবল চীনের প্রবৃদ্ধি ১ দশমিক ৯ শতাংশ হতে পারে। সংস্থাটি আরও বলছে, সারা বিশ্বের গড় জিডিপি প্রবৃদ্ধি মাইনাস ৪ দশমিক ৪ শতাংশ হতে পারে।

 

আপনি আরও পড়তে পারেন