গৃহবধূকে গণধর্ষণ, মেম্বারসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা

বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জে গৃহবধূকে গণধর্ষণের ঘটনায় স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বারসহ ৫ জনকে অভিযুক্ত করে একটি মামলা করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৩ অক্টোবর) রাতে নির্যাতিতা গৃহবধূ বাদী হয়ে কাজিরহাট থানায় মামলাটি করে।

বুধবার (১৪ অক্টোবর) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অসীম কুমার সিকদার।

এর আগে স্থানীয় আন্ধারমানিক ইউনিয়নের বাসিন্দা ওই গৃহবধূকে রোববার রাতে বাসা থেকে পড়শি রাজিব ফকির নামে এক যুবক বন্ধু বাবু বেপারীর বাসায় ডেকে নেয়। সেখানে এই দুই বন্ধুসহ নাজমুল হোসেন নামের আরও একজন মিলে তাকে গণধর্ষণ করে।

বিষয়টি জানাজানি হলে ওই রাতে স্থানীয় এক ওয়ার্ড মেম্বর বিষয়টি আপোষের চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হলে লোকলজ্জার ভয়ে কিশোরী গৃহবধূ সোমবার সকালে নিজগৃহে বিষপান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। এতে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে উদ্ধার করে পার্শ্ববর্তী হিজলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এ খবর জানাজানি হলে সন্ধ্যা নাগাদ পুলিশ বিষয়টি নিয়ে অনুসন্ধান শুরু করে।

জানা গেছে, তিন মাস পূর্বে এক যুবকের সাথে বিবাহ হলেও ওই গৃহবধূ আন্ধারমানিক ইউনিয়নে বাবার বাসায় অবস্থান করছিলেন।

স্থানীয় হালান আকনের ছেলে নাজমুল হোসেন, দুলাল বেপারীর ছেলে বাবু বেপারী এবং হাসান ফকিরের ছেলে রাজিব ফকির তাকে তাকে বিভিন্ন সময়ে উত্ত্যক্ত করে আসছিল। এমনকি বিয়ে পরেও একইভাবে হয়রানি করে।

গৃহবধূর দুলাভাই আবু বক্কর জানান, রোববার রাত ১টার দিকে তার শ্যালিকাকে পড়শি দুলাল বেপারীর ছেলে বাবু ডেকে নেয়। সেখানে তাকে আটকে বাবুসহ রাজিব ও নাজমুল পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এই বিষয়টি স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার শাহ পরান ভূইয়া জানতে পেরে সেখানে উপস্থিত হন এবং অর্থের বিনিময়ে আপোষের চেষ্টা চালান। সেখানে সমঝোতায় যেতে নারাজ থাকার বিষয়টি জানিয়ে গৃহবধূকে নিয়ে স্বজনেরা চলে আসে।

এই বিষয়টি এলাকায় কমবেশি জানাজানি হলে ওই গৃহবধূ সোমবার সকালে বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা চালায়। এতে সে অসুস্থ হয়ে পড়লে উদ্ধার করে স্বজনরা তাকে পার্শ্ববর্তী হিজলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। এই ঘটনায় দু’দিন বাদে মঙ্গলবার রাতে মেম্বারসহ ৫ জনকে অভিযুক্ত করে থানায় মামলা করে গৃহবধূ।

মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে কাজিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অসীম কুমার সিকদার জানান, ধর্ষণ একটি আপোষরফা অযোগ্য মামলা। কিন্তু স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার এটি সমঝোতার চেষ্টা চালিয়েছেন। এই কারণে তাকে মামলায় আসামি করা হয়েছে। এখন তাদের গ্রেপ্তারে পুলিশের একাধিক টিম মাঠে কাজ করছে।

 

আপনি আরও পড়তে পারেন