ব্রণ দূর করার জাদুকরী সমাধান

কোনও গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানে আপনার সেজেগুজে যাওয়ার কথা! আর আপনি সকালে উঠে দেখলেন ডান গালে একটা মসুর ডালের বড়ার মতো পিম্পল! বা ব্রণ! যার না হয়েছে তিনি কখনোই বুঝবেন না। আর তারপরেই শুরু হয়ে যায় লম্ফঝম্প! এই ক্রিম, সেই লোশন। এতে যে একেবারেই কাজ হয় না তা নয়! তবে দুদিন পরে আবার অন্য গালে পিম্পলের আগমন ঘটে!

অনেক সময় কিছু সাধারণ পদ্ধতি মেনে চললে পিম্পল বা ব্রণ কমে যায়। বেশি করে পানি পান করলে, সুষমভাবে ডায়েট মানলে এবং অবশ্যই জাঙ্ক খাবার এড়িয়ে চললে ব্রণ এমনিতেই কমে যায়। তবে সেটা রাতারাতি করে হবে না। একটু সময় লাগবে। কিন্তু আপনার যদি এত ধৈর্য না থাকে, তা হলে এই চটজলদি পদ্ধতিগুলো চেষ্টা করে দেখুন। এক রাতেই আপনার ব্রণ ছু’ মন্তর ছু’ হয়ে যাবে।

চলুন একনজরে দেখে নেওয়া যাক সেই সহজ পদ্ধতিগুলো:

১. প্রথমেই সবচেয়ে সহজ পদ্ধতিটি হল ফ্রিজে বরফ কিউব থাকে নিশ্চয়ই? একটা নরম কাপড়ে মুড়ে ওই বরফের টুকরো পিম্পলের ওপরে আলতো করে চেপে ধরুন। এতে ব্রণ ভেতর থেকে শুকিয়ে যাবে। ২০ সেকেন্ড মতো রাখবেন। এটি দিনে দুবার করা যায়।

২. ত্বক আর চুল ভালো রাখতে মধু যেমন বেশ উপকারী তেমনি ব্রণও সারিয়ে তুলতে বেশ কার্যকর সেটা জানেন কি? মধুর অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল গুণ ব্রণ সারিয়ে তুলে। তাই বলে বেশি মধু লাগাবেন না। রাত্রে এক দুই ফোঁটা লাগিয়ে দিন ব্রণে, সকালে উঠে ধুয়ে ফেলুন।

৩. অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল গুণ সম্পন্ন টি ট্রি অয়েল দুই ফোঁটা নিয়ে তার সঙ্গে নারকেল তেল মিশিয়ে ব্রণে লাগাবেন। কয়েক ঘণ্টা রেখে হাল্কা গরম পানিতে ধুয়ে ফেলুন।

৪. অ্যাস্পিরিন ট্যাবলেট গুঁড়ো করে পেস্ট বানিয়ে ব্রণে লাগান। এর অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি গুণ আপনার ব্রণ সারিয়ে দেবে।

৫. একই গুণ আছে গ্রিন টি-তে। গ্রীন টির-ব্যাগ গরম পানিতে দিয়ে ফুটিয়ে নিন, তার পর ঠাণ্ডা হলে ব্রণে লাগান।

৬. অ্যালোভেরা গাছ থেকে নির্যাস বের করে ব্রণে লাগাতে পারেন। কেনা পানি এড়িয়ে চলাই ভালো, এতে রাসায়নিক থাকতে পারে।

ব্রণের ব্যাপারে বাড়তি সতর্ক হিসেবে প্রতিদিনের স্কিন কেয়ার রুটিন মেনে চলতে হবে। চেষ্টা করবেন বেশি রাসায়নিকযুক্ত কোন বিউটি প্রোডাক্ট ব্যবহার না করতে। ব্রণ হলেই সেটা হাত দিয়ে টিপে বা খুঁটে দেখার অভ্যাসটা ত্যাগ করুন। দাগ শুধু চাঁদেই ভাল লাগে, আপনার মুখে নয়!

আপনি আরও পড়তে পারেন