প্রথমবার ফাইনালে দিল্লি

প্রথম দল হিসেবে ফাইনাল আগেই নিশ্চিত করেছে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। ফাইনালের মঞ্চে তাদের প্রতিপক্ষ কে হবে? এমন সমীকরণের ম্যাচে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদকে হারিয়ে ফাইনালে উঠলো দিল্লি ক্যাপিটালস। সানরাইজার্সকে ১৭ রানে হারায় তারা। দিল্লির দেয়া ১৯০ রানের লক্ষে খেলতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৭২ রানে ইনিংস থামে সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের। 

টস জিতে ব্যাট করতে নেমে দুর্দান্ত শুরু করে দিল্লির দুই ওপেনার। স্টয়নিস এবং ধাওয়ানের ব্যাট বড় সংগ্রহের আভাস দেয় দিল্লি। উদ্বোধনী জুটিতে দু’জন মিলে তোলেন ৮৬ রান। রশিদ খানের বলে বোল্ড হয়ে ফিরে যাওয়ার আগে স্টয়নিস করেন ২৭ বলে ৩৮ রান। তবে অন্য প্রান্তে রানের চাকা সচল রাখেন ধাওয়ান। তিনি করেন ৫০ বলে ৭৮ রান করে ফিরে যান এই বাঁহাতি। এরপর দলের হাল ধরেন অধিনায়ক শ্রেয়াস এবং হেটমায়ার। শ্রেয়াস করেন ২১ রান। আর হেটমেয়ারের ২২ বলে ৪২ রানের ক্যামিও ইনিংসে শেষ পর্যন্ত ৩ উইকেটে ১৮৯ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর পায় দিল্লি ক্যাপিটালস

জবাব দিতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি হায়দ্রাবাদের। শুরুতেই ফিরে যান অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নার। ব্যক্তিগত ২ রানে রাবাদার বলে বোল্ড হন তিনি। এরপর দলের হাল ধরেন মনিষ পান্ডে এবং প্রিয়ম। দু’জনে এগিয়ে নেন দিল্লির স্কোর। তবে ১৭ রানে কাটা পড়েন আরেক ওপেনার প্রিয়ম। এরপর উইলিয়ামসনের ব্যাটে এগুতে থাকে হায়দ্রাবাদ।

এক প্রান্ত আগলে রেখে জয়ের স্বপ্ন দেখাতে থাকেন এই কিউই ব্যাটসম্যান। কিন্তু ৬৭ রানে রাবাদার হাতে ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন তিনি। এরপর হঠাৎই ছন্দপতন নেমে আসে হায়দ্রাবাদ শিবিরে। শুরু হয় রাবাদা ম্যাজিক। আব্দুল সামাদের ব্যাটে কিছুটা আশা জিইয়ে থাকলেও তা ফিকে করে দেন রাবাদা। মাত্র ১৬ বলে ৩৩ রান করে রাবাদার বলে বিদায় নেন তিনি। এরপর ওই ওভারে আরো দুটি উইকেট তুলে নেন রাবাদা। ফলে জয়ের স্বপ্ন শেষ হয়ে যায় ডেভিড ওয়ার্নারদের।

শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ১৭২ রানে থামতে হয় তাদের। দিল্লির হয়ে রাবাদা নেন ৪টি উইকেট। আর স্টয়নিস নেন ৩টি উইকেট। ব্যাট-বলে দারুণ পারফরমেন্স করে ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার জিতে নেন স্টয়নিস।

আপনি আরও পড়তে পারেন