ভালুকা প্রতিনিধি ঃ
ভালুকা টু গফরগাঁও সড়কের উন্নয়ন মূলক কাজ দ্রুত গতিতে করতে থাকলেও জবাববিহীনভাবে কাজ সম্পন্ন করার প্রতিযোগীতা শুরু হয়ে গেছে। সরজমিনে জানাযায়, নিন্ম মানের ইটের খোয়া, বালি পাথর দিয়ে অবিরাম কাজ করে যাচ্ছে বলে সচেতন মহলের কাছে প্রশ্নবিদ্য হয়ে উঠেছে।
ভালুকা থেকে ধীতপুর পর্যন্ত সড়কের দুইপাশে অপরিকল্পিত ভাবে ফসলী জমি খনন করে মৎস্য চাষ করা হয়েছে। ফলে কয়েক যুগ ধরে রাস্তার দুপাশ ফিসারিজের ধরে গর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে।
চলমান উন্নয়নমূলক সড়কের কাজে রাস্তার দুপাশে পিলার দিয়ে ওয়াল না করে বাঁশের বেড়া দিয়ে নির্মাণের কাজ ইতি টানলে বর্ষা মৌসুমে রাস্তার কোন অস্তিত্বই খুজে পাওয়া যাবে না। অপরদিকে রাস্তায় পানি না দিয়ে বালির সাথে মাটি মিশিয়ে আলতোভাবে ঘষামাজা করা হচ্ছে।
রাতের আধারে ছোট ছোট ব্রীজের নির্মান কাজ এবরো থেবরোভাবে শেষ করা হলেও স্থায়িত্ব টিকসইয়ের জন্য পানি শোষনের কোন বালাই লক্ষ্য করা যায়নি। বৃষ্টির মাঝে রাস্তা না শুকিয়ে বিটুমিনের কাজও করা হচ্ছে বলে দৃশ্যমান।
ইতোমধ্যে রাস্তার কোনদিকে একপাশ নীচু, অন্যপাশে উচু মাঝে মধ্যে ডাবা হয়ে যাচ্ছে।
ভালুকা টু গফরগাঁও সড়কের নিকটবর্তি দিয়ে তিতাস গ্যাসের পাইপ লাইনটি চলমান। এই পাইপ লাইনের উপর দিয়ে রাস্তার নির্মাণ কাজ শেষ হলে অদূর ভবিষ্যতে ঘটতে পারে যে কোন দূর্ঘটনা হতে পারে প্রাণহানি।
অপরদিকে ময়মনসিংহ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি -২ এর বিদ্যুতের খুটি রাস্তার খুব কাছে থাকার কারনে ঝড় তুফানের সময়ও ঘটতে পারে মুহুর্তের মধ্যে দূর্ঘটনা।
দায়িত্বপ্রাপ্ত কতিপয় কয়েকজন বলেন, তিন বছর পর্যন্ত আমরা দেখবো তাতে আপনাদের সমস্যা কি?
সচেতন মহলের দাবি, ভালুকার মানুষ ভাল থাকার জন্য স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহজ্ব কাজিম উদ্দিন আহমেদ ধনু মহোদয় সহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তার তদন্ত সাপেক্ষে আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন। (চলবে)