বিয়ের প্রলোভনে বিধবা নারীকে ধর্ষণ ও ভিডিও ধারণ করে প্রচারের হুমকি

বিয়ের প্রলোভনে বিধবা নারীকে ধর্ষণ ও ভিডিও ধারণ করে প্রচারের হুমকি

বিয়ের প্রলোভনে এক বিধবা নারীকে (২৮) ধর্ষণ, ধর্ষণে সহযোগীতা ও ভিডিও ধারণ করে প্রচারের হুমকি দিয়ে স্বর্ণ ও টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে এক নারীসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

ফেনীর ছাগলনাইয়ায় বিয়ের প্রলোভনে এক বিধবা নারীকে (২৮) ধর্ষণ, ধর্ষণে সহযোগীতা ও ভিডিও ধারণ করে প্রচারের হুমকি দিয়ে স্বর্ণ ও টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে এক নারীসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তারা হলেন- মো. মোমিন হোসেন পাটোয়ারী (২৯), তার ভাবী রেহানা আক্তার (৪২) ও ভাই আনোয়ার হোসেন পাটোয়ারী (৩৫)।

শুক্রবার (১৩ নভেম্বর) বিকেলে তাদের তিনজনকে ফেনীর বিচারিক হাকিম আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

 

গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ওই নারী বাদী হয়ে ছাগলনাইয়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯ (১) ধারা ও পর্ণোগ্রাফি আইনে মামলা করেন। পুলিশ রাতেই অভিযান চালিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে মো. মোমিন হোসেন পাটোয়ারীকে এবং ধর্ষণে সহযোগীতার জন্য ভাবী রেহানা আক্তার ও ভাই আনোয়ার হোসেন পাটোয়ারীসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে।

পুলিশ ও মামলার এজাহার সুত্রে জানা যায়, ছাগলনাইয়া উপজেলার উত্তর সতর গ্রামের মো. মোমিন হোসেন পাটোয়ারীর স্থানীয় চাঁদগাজী বাজারে একটি দোকান রয়েছে। ওই নারী মাঝে মধ্যে তার দোকানে কেনাকাটার সুবাদে আলাপ পরিচয় হয়। মোমিন পরে ওই নারীর পাকিস্তান প্রবাসী স্বামীর মৃতুর খবর জানতে পারে। এরপর গত জুলাই মাসের শুরুতে ওই নারীকে বিয়ের প্রস্তাব করে এবং কথা বলার জন্য তার ভাবী রেহানা বেগমের বাসায় নিয়ে যায়। সেখানে ওই নারীকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়, তার একমাত্র মেয়েকে নিজের মেয়ে হিসেবে গ্রহণ এবং তার নামে সম্পত্তি লিখে দেওয়ার অঙ্গীকার করেন। পরে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। ওই নারী কান্নাকাটি করলে মোমিনের ভাবী রেহানা গিয়ে তাকে বিয়ে করার জন্য বুঝায় ও সান্তনা দেয়। ৩০ অক্টোবরও ভাবী রেহানার বাসায় ডেকে নিয়ে আবারও ধর্ষণ করে এবং ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে। এরপর ওই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারের হুমকি দিয়ে ওই নারী থেকে ৩ ভরি স্বর্ণালঙ্কার ও এক লাখ টাকা আদায় করে এবং বিয়ে করবে না বলে জানায়। ওই নারী ধর্ষণ, স্বর্ণ ও টাকা নেওয়া এবং ভিডিও ধারণের বিষয়টি মোমিন হোসেনের বড় ভাই আনোয়ার হোসেন পাটোয়ারীকে জানালে তিনিও এসব কথা আর কাউকে না জানানোর জন্য বলে হুমকি দেন। গত ৫ নভেম্বর ওই নারীকে ডেকে রেহানার বাসায় নিয়ে মারধর করা হয়।

ছাগলনাইয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাহবুবুর রহমান ধর্ষণ, ধর্ষণে সহযোগীতা ও পর্ণোগ্রাফি আইনে তিনজনকে গ্রেপ্তার ও আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, যে মুঠোফোন সেটে ভিডিও ধারণ করছে সেটার সত্যতা পাওয়া গেছে এবং সেটি জব্দ করা হয়েছে। ডিএনএ টেষ্টের জন্য নমুনা নেওয়া হয়েছে।

 

আপনি আরও পড়তে পারেন