সরকার এজেন্টদের দিয়ে নাশকতা করে বিএনপির দোষ দিচ্ছে: ফখরুল

সরকার এজেন্টদের দিয়ে নাশকতা করে বিএনপির দোষ দিচ্ছে: ফখরুল

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, কে বা কারা বাসে আগুন দিল। অথচ সেই আগের খেলায় সরকার লিপ্ত। তারা তাদের এজেন্টদের দিয়ে নাশকতা করে বিএনপির ওপর দোষ চাপায়, বিরোধী নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে হাজার হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করে।

নেতাকর্মীদের সতর্ক করে তিনি বলেন, কেউ এ ধরনের ট্র্যাপে পা দেবেন না। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আন্দোলন করতে হবে। নাশকতা যারা করছে তাদের সঙ্গে বিএনপির কোনো যোগসূত্র নেই। তাই এই ঘটনার সাথে যারা জড়িত তাদের খুঁজে বের করার আহ্বান জানাচ্ছি।

শনিবার (১৪ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) দ্বিবার্ষিক কাউন্সিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ অভিযোগ করেন।

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া অসুস্থ, তাকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে না বলেও অভিযোগ করেন বিএনপি মহাসচিব।

ফখরুল বলেন, বেগম খালেদা জিয়া অসুস্থ, তাকে চিকিৎসা পর্যন্ত দেয়া হচ্ছে না। অপরদিকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশের বাইরে অবস্থান করছেন, মিথ্যা মামলার জন্য তিনি দেশে ফিরতে পারছেন না।

তিনি বলেন, সুপরিকল্পিতভাবে স্বাধীন মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে হরণ করা হচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে যেন কেউ কথা বলতে না পারে, তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। অন্যদিকে রাজনীতিকে নিজেদের মতো করে আয়ত্তে এনে বিরাজনীতিকরণে পরিণত করা হয়েছে।

ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে গণতন্ত্রিক আন্দোলন কোনো সহজ আন্দোলন নয় মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, বিরোধীদলের চরম সংকট চলছে। আমাদের চরম নির্যাতনের মুখে পড়তে হয়েছে। ১/১১ মঈন উদ্দিন ও ফখরুদ্দিন সরকারের ধারাবাহিকতায় আওয়ামী লীগও কাজ করে যাচ্ছে। সেই একইভাবে মাইনাস ওয়ান ফর্মুলা নিয়ে বিএনপিকে নির্মূলের করার ষড়যন্ত্রে তারা লিপ্ত হয়েছে।

মির্জা ফখরুল বলেন, ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে গণতন্ত্র আন্দোলন কোনো সহজ আন্দোলন নয়। এই আন্দোলন দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে। এই আন্দোলন অনেক ত্যাগ-আত্মত্যাগের প্রয়োজন হতে পারে।

তিনি বলেন, বিএনপির ৩৫ লাখ নেতাকর্মী এখন প্রায় এক লক্ষাধিক মামলার আসামি। ৬০০ এর বেশি নেতাকর্মীকে গুম করা হয়েছে। সহস্রাধিক নিহত হয়েছেন। এখনও পর্যন্ত নির্যাতিত হয়ে চলেছেন। এই অত্যাচার থেকে বেরিয়ে আসতে জাতীয় ঐক্যের বিকল্প নেই।

দেশের সংকট মোকাবিলায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান ফখরুল।

তিনি বলেন, সাংবাদিক, রাজনীতিবিদ, চিকিৎসকসহ সবাইকে নিয়ে জাতীয় ঐক্য করে অধিকার আদায় করতে হবে, গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনতে হবে।

বন্ধ মিডিয়া খুলে দেওয়ার পাশাপাশি আটক সাংবাদিক নেতাদের মুক্তির দাবি জানান বিএনপি মহাসচিব।

তিনি বলেন, বিনা কারণে গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধ করতে সাংবাদিক নির্যাতন করা হচ্ছে।

বিএফইউজের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নুরুল আমিন রোকনের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরোয়ার, সাংবাদিক নেতা ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদ, প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি কামাল উদ্দিন সবুজ, বিএফইউজের মহাসচিব এম আব্দুল্লাহ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি কাদের গণি চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম প্রমুখ।

আপনি আরও পড়তে পারেন