ঘাটাইলের দশানী বকশিয়ায় মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন

ঘাটাইলের দশানী বকশিয়ায় মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন

সৈয়দ  মিঠুন ঘাটাইল টাঙ্গাইল প্রতিনিধি: টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার আথাইল শিমুল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবসর প্রাপ্ত শিক্ষক ও দশানি বকশিয়া কেন্দিয় জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাজী আলী আহম্মদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় দশানী বকশিয়া প্রধান সড়কে এ মানবন্ধন করেছে সর্বস্তরের জনগণ।

এ বিষয়ে জানা যায়, দশানী বকশিয়া গ্রামের মঞ্জুরুল করিম তালুকদারের ফুপু মনোয়ারা বেগম ছেলে মিজানুর রহমানকে নিয়ে বাস করেন ওই গ্রামেই। ছেলে নেশাগ্রস্থ ও বিপদগামী হওয়ায় মাঝেমধ্যেই সমস্যা পড়তে হয়েছে মনোয়ারা বেগমকে। মিজানুর বিভিন্ন অনৈতিক কাজের সাথে সম্পৃক্ত থাকায় অনেকেই এড়িয়ে চলতো তাকে। হঠাৎ করেই  গত ১৮ অক্টোবর রাতে গলায় ফাঁস দিয়ে ছেলে মিজানুর মারা যায়।

ছেলে মারা গেলে মা মনোয়ারা বাদী হয়ে বিগত ০৫ নভেম্বর হাজী আলী আহম্মদসহ ০৭ জনকে আসামী করে কোর্টে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মানববন্ধনে দশানী বকশিয়া গ্রামের হিতৈষী হাজী আরশেদ আলী তালুকদার বলেন, মনোয়ারা বেগম আলী আহম্মদসহ ৭ জনকে যে মামলা দিয়েছে এটা একটি বানোয়াট কেস। দারোগা ও চেয়ারম্যানও বলছে ও ফাঁসি দিয়াই মারা গেছে।

 লোকেরপাড়া ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি লুৎফর রহমান পিন্টু  বলেন, এই গ্রামের মনোয়ারা বেগমের ছেলে মিজানুর রহমান নেশাগ্রস্থ একটি লোক ছিল। গত ১৮ অক্টোবর রাতে গলায় ফাঁস দিয়ে সে মারা যায় আর এই সুযোগে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে একটি মিথ্যা মামলা দিয়ে হাজী আলী আহম্মেদ স্যারকে ফাসানোর চেষ্ঠা করছে একটি কুচক্রী মহল। তাই মানববন্ধনের মাধ্যমে আমি এই মিথ্যা মামলার নিন্দা ও প্রত্যাহারের দাবি জানাই। সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও মুক্তিযোদ্ধা হায়দার আলী তালুকাদার বলেন, আমি যে সুরুতহাল বিপোর্ট করেছেন তার কাছে আমি জানতে চেয়েছিলাম আসলে মৃত্যুর বিষয়টা কি? তিনি আমাকে বলেছিলেন ফাঁস দিয়ে মারা যাওয়ার সব সিমটমই আমরা পেয়েছি, ফাঁস দিয়েই মারা গেছে। 

হাজী আলী আহাম্মদ বলেন, আমি অবসর প্রাপ্ত একজন শিক্ষক এবং এই গ্রামের মসজিদের একজন বিনা বেতনের পেশ ইমাম। জমি সংক্রান্ত বিষয়ে আমার প্রতিবেশি ও এই মিথ্যা মামলার বাদীদের সাথে বিরোধ চলে আসছিল। তারা আমার জমি জমা বেদখল দেওয়ার জন্য পায়তারা করছে। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ঝামেলায় ফেলছে। তাই পূর্বে আমি থানায় একটি  জিডিও করেছি।

তাদের একটি ছেলে ফাঁস দিয়ে মারা গেছে। উদ্যেশ্য হাসিলের জন্যে তাই এখানে আমাকে ফাসানোর চেষ্টা করছে। আমি এই মিথ্যা মামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ করছি এবং মামলা প্রত্যাহারের দাবি করছি। এ সময়ে অন্যান্য বক্তারাও  হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানায়।

আপনি আরও পড়তে পারেন