মৌলভীবাজার অনলাইন প্রেসক্লাবে ভুক্তভোগী নারীর সংবাদ সম্মেলন

মৌলভীবাজার অনলাইন প্রেসক্লাবে ভুক্তভোগী নারীর সংবাদ সম্মেলন


মামুনুর রশীদ, মৌলভীবাজার জেলা প্রতিনিধি || মৌলভীবাজার সদর উপজেলার হাসানপুর গ্রামের আপন দেবর বিরুদ্ধে যৌন হয়রানী, বিভিন্ন ভাবে মিথ্যা মামলাসহ একাধিক হয়রানীর অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় রোববার ১৫ নভেম্বর দুপুরে ভুক্তভোগী রুনা বেগম(৩৫) মৌলভীবাজার অনলাইন প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। তিনি জানান- আপন দেবর মোবারক মিয়া (৪০), নানু মিয়া (৫৫), উভয় পিতা- মৃত ঃ ছমেদ মিয়া, শাহিন মিয়া (৩৫), কদমহাটা সিরাজ মিয়া লন্ডনীর ভাড়াটিয়া লিটন মিয়া (৩২), পিতা- মৃতঃ ইব্রাহিম মিয়া, রাজনগর উপজেলার গনেশপুর গ্রামের মুহিত মিয়া। আটঘর গ্রামের জয়নাল মিয়া (৩৯), পিতা মৃতঃ ফিরুজ মিয়া, আল-আমিন (২২), পিতা –মুসলিম মিয়া,হাসানপুর গ্রামের মুকিছ মিয়া (৪১), পিতা- তাহির মিয়াগংদের কারনে যৌন হয়রানী, বিভিন্ন ভাবে মিথ্যা মামলাসহ একাধিক হয়রানীর শিকার।

তিনি মানবিক ও নৈতিক সহযোগীতা, রাষ্ট্রীয় সুরক্ষা প্রাপ্তি, এবং সাংবাদিকদের লেখনীর মাধ্যমে জন প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও জণসাধারণকে অবহিত করার আহবান জানান। তিনি জানান- বিগত ২৪/১০/২০২০ইং তার স্বামী রমজান মিয়া কাজের সুবাদে বাহিরে থাকার সুবাদে দেবর মোবারক মিয়া ঘরে ঢুকে জোরপূর্বক ধর্ষনের চেষ্টা চালায়। এ সময় শাহিন মিয়া, লিটন মিয়া ও মুহিত মিয়া ঘরের দরজার বাহিরে পাহারা দেয়। এবং প্রাণে মেরে ফেলার চেষ্টা করেন। তাদের ধস্তাধস্তিতে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন।

তার চিংকার শুনে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে চিকিৎসা প্রদান করেন। এ ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল, মৌলভীবাজার আদালতে তাদের বিরুদ্ধে ( পি. মামলা নং- ২১১/২০২০) দায়ের করেন। বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশে মামলাটি বর্তমানে আনছার ভি.ডি.পি অফিসার তদন্ত করছেন। একই ভাবে মোবারক মিয়া, শাহিন মিয়া, নানু মিয়া, জয়নাল মিয়া, আল-আমিন ও মুকিছ মিয়াগংরা বিগত ১৬/১০/২০২০ইং তার স্বামী রমজান মিয়াকে পূর্বপরিকল্পিতভাবে ওৎ পাতিয়া থাকা সমুহ লোকজন তাদের হাতে থাকা রড, লাঠি, চাকু ইত্যাদি দেশীয় অস্ত্র দিয়ে প্রাণে মেরে ফেলার জন্য হামলা চালায়।

সাথে থাকা নগদ ২০ হাজার টাকা, মুঠোফোন ছিনাইয়া নিয়া যায়। এ সময় তাদের এলোপতাড়ি পিটুনিতে তিনি গুরুতর রক্তাক্ত জখমপ্রাপ্ত হন। ঘটনাস্থল থেকে আশ-পাশের লোকজন তাকে উদ্ধার করে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে চিকিৎসা প্রদান করেন। এ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ১নং আমলী আদালতে মামলা (নং- সিআর-৪১১/২০২০) দায়ের করেন। বর্তমানে দেবর মোবারক মিয়াগংরা আমাদেরকে হয়রানী করার উদ্যাশ্যে বিভিন্ন ভাবে মিথ্যা মামলাসহ একাধিকবার হয়রানী করছে।

আপনি আরও পড়তে পারেন