ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের কমিটিতে মেয়র ফজলে নূর তাপস

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের কমিটিতে মেয়র ফজলে নূর তাপস

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের কমিটিতে মেয়র ফজলে নূর তাপস

সম্মেলনের ১১ মাসের বেশি সময় পর ১০২ সদস্যবিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করেছে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ। নতুন কমিটিতে জায়গা পেয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। তাকে কার্যনির্বাহী কমিটির এক নম্বর সদস্য করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৯ নভেম্বর) বিকেলে আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার নির্দেশে এই কমিটির অনুমোদন দেন দলের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাগ্নে শেখ ফজলুল হক মনির ছোট ছেলে ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। তিনি ১৯৭১ সালের ১৯ নভেম্বর ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবারসহ আরও যাদের হত্যা করা হয়েছিল তাদের মধ্যে তার বাবা শেখ ফজলুল হক মনি ও অন্তঃসত্ত্বা মা আরজু মনিও ছিলেন।

তাপস পেশায় আইনজীবী। তাপস ১৯৯৬ সালে যুক্তরাজ্যের ওলভারহ্যাম্পটন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইনবিদ্যায় স্নাতক (এলএলবি) সম্পন্ন করেন। ১৯৯৭ সালে ‘বার অব ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস’-এর জেনারেল কাউন্সিলের অধীন বার ফাইনাল কোর্স সম্পন্ন করেন। তিনি লিংকনস ইন ও বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের একজন সদস্য।

তাপস ২০০১ সাল থেকে হাইকোর্ট বিভাগের একজন আইনজীবী হিসেবে কাজ করছেন। তিনি ২০১০ সালের ২৪শে আগস্ট আপিল বিভাগের একজন আইনজীবী হিসেবে নিয়োগ পান। শেখ মুজিবুর রহমান হত্যা মামলায় তিনি সরকার পক্ষের আইনজীবী হিসেবে কাজ করেন। ২০০৭ সালে তৎকালীন সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলা করার পর তাপস শেখ হাসিনার পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন। তিনি বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ১৯৯৮ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত তিনি তার পিতার প্রতিষ্ঠিত ও বন্ধ হয়ে যাওয়া দৈনিক বাংলার বাণী পত্রিকার প্রকাশক ছিলেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সিনেটের সদস্য।

তাপস ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১২ আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে প্রথমবারের মত সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এ সময় তিনি সংসদে বিদ্যুৎ, জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি এবং আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে ২০১৪ সালে দশম ও ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১০ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। দশম সংসদে তিনি খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য ছিলেন।

২০১৯ সালের ২৯ ডিসেম্বর ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী হিসেবে তাকে মনোনয়ন দেওয়ার পর তিনি জাতীয় সংসদ থেকে পদত্যাগ করেন। তিনি ২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে জয়লাভ করেন এবং ১৬ মে মেয়র হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি:

উপদেষ্টা পরিষদ: আবদুল হক সবুজ, হাজি মো. সেলিম, কামাল চৌধুরী, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ফোরকান মিয়া, শেখ রইসুল আলম ময়না, অ্যাডভোকেট জাহানারা বেগম রোজী, মো. ফজলে রফিক, মিনহাজ উদ্দিন মিন্টু, মাহবুবুর রহমান আলীজান, মোহাম্মদ নাজমুল হুদা, ডা. মোশাররফ হোসেন, মীর সমীর, অ্যাডভোকেট আতাউর রহমান মোল্লা, হাজি আফতাব উদ্দিন, হাজি ফয়েজ, মুক্তিযোদ্ধা ফুয়াদ আলম, সফিকুর রহমান জাহাঙ্গীর, ফজলুর রহমান পর্বত, সিরাজুল ইসলাম র‌্যাডো, তোফাজ্জেল হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আহসানউল্লা মনি, ইঞ্জিনিয়ার লুৎফর রহমান, হাজি ইসলাম উদ্দিন, এস এম আমিনুল ইসলাম, আবুল কাশেম, শেখ ইসমত জামিল আকন্দ লাভলু ও সেকেন্দার আলী।

সভাপতি: আবু আহমেদ মন্নাফী

সহ-সভাপতি: নুরুল আমিন রুহুল, ডা. দিলীপ রায়, শহীদ সেরনিয়াবাত, হাজি মো. সাহিদ, খন্দকার এনায়েত উল্ল্যাহ, মিজবাউর রহমান ভূইয়া রতন, আব্দুস সাত্তার মাসুদ, সাজেদা বেগম, আওলাদ হোসেন, শরফুদ্দিন আহমেদ সেন্টু ও হেদায়েতুল ইসলাম স্বপন।

সাধারণ সম্পাদক: মো. হুমায়ুন কবির।

যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক: মোরশেদ হোসেন কামাল, মো. মিরাজ হোসেন ও মহিউদ্দিন আহমেদ মহি।

অন্য সম্পাদকীয় পদের মধ্যে আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট জগলুল কবির, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক আবদুর রহমান, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক আনিস আহম্মেদ, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক শেখ মো. আজহার, দপ্তর সম্পাদক রিয়াজউদ্দিন রিয়াজ, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মো. ইসমাইল হোসেন, প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক চৌধুরী সাইফুন্নবী সাগর, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক নাঈম নোমান, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক এফ এম শরিফুল ইসলাম, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট তাহমিনা সুলতানা, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক মোজাম্মেল হোসেন হেলাল, যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক সাইদুল ইসলাম খান পল, শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক এসকে বাদল, শিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক সম্পাদক মো. নাসির, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, সাংস্কৃতিক সম্পাদক আবদুল মতিন ভূইয়া এবং স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. নজরুল ইসলাম।

সাংগঠনিক সম্পাদক: গোলাম আশরাফ তালুকদার, মো. আকতার হোসেন ও গোলাম সরোয়ার কবির।

এ ছাড়া সহদপ্তর সম্পাদক আরিফুর রহমান রাসেল, সহপ্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মো. আসাদুজ্জামান আসাদ এবং কোষাধ্যক্ষ হিসেবে মো. হুমায়ুন কবির দায়িত্ব পেয়েছেন।

সদস্য: ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, শাহ আলম মুরাদ, আলহাজ মো. আবুল বাশার, সালাউদ্দিন বাদল, এম এম সহিদুল ইসলাম মিলন, আশরাফুল ইসলাম মারুফ, গোলাম রব্বানী বাবলু, সাইফুল ইসলাম, মো. মুজিবুর রহমান, জসিমউদ্দিন খান আজম, গিয়াস উদ্দিন সরকার পলাশ, মামুন রশিদ শুভ্র, ওমর বিন আবদাল আজিজ তামিম, মারুফ আহমেদ মনসুর, আসাদুজ্জামান আসাদ, শফিকুল ইসলাম খান দিলু, ফরিদউদ্দিন আহমেদ রতন, আনিসুর রহমান আনিস, ইলিয়াছ আহমেদ বাবুল, মো. জসিম উদ্দিন, শাহজাহান ভুইয়া মাখন, সৈয়দা রোকসানা ইসলাম চামেলী, মোহাইমান বয়ান, সাহাবুদ্দিন সাহা, রাশেদুল মাহমুদ রাসেল, রাকিব হাসান সোহেল, অপু বড়ুয়া, অ্যাডভোকেট সালমা আক্তার কেকা, ড. খন্দকার তানজির মান্নান, এস এম আলিমুজ্জামান আলম, মো. আইউব খান, আমিনুল ইসলাম শামীম, সাজেদুল ইসলাম চৌধুরী দীপু, লাভলী চৌধুরী, ফাতেমা আক্তার ডলি ও সিরাজুম মনির টিপু।

আপনি আরও পড়তে পারেন