কেরানীগঞ্জে প্রীতি নামে এক শিক্ষার্থীর হাত বাধা লাশ উদ্ধার, প্রেমিক লাপাত্তা

কেরানীগঞ্জে প্রীতি নামে এক শিক্ষার্থীর হাত বাধা লাশ উদ্ধার, প্রেমিক লাপাত্তা

মো.শাহিন বিশেষ প্রতিনিধি

কেরানীগঞ্জের শাক্তা ইউনিয়নের বামনশুর গ্রাম থেকে প্রীতি মদক (১৭) নামের একাদশ শ্রেণির এক শিক্ষার্থীর হাত বাধা লাশ উদ্ধার করেছে কেরানীগঞ্জ মডেল থানা পুলিশ। শুক্রবার (২০ নভেম্বর) বামনগুর মসজিদ ঘাট থেকে শিক্ষার্থী লাশ উদ্ধার হয়। নিহত প্রীতি স্থানীয় নয়াবাজার কলেজের একাদশ শ্রেনীর ছাত্রী এবং শিকারীটোলা গ্রামের সমর মদকের মেয়ে। ২৪ নভেম্বর তার বিয়ে তারিখ ছিলো,হাতে মেহেদী, কপালে সিঁদুর পরা হলো না প্রীতি মদকের। এটা হত্যা না আত্মহত্যা তা জানা যায়নি। প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় শিক্ষক নাজিবুল্লাহ জানান, শুক্রবার সকালে বামনশুর মসজিদের পুকুরে বড়শিতে মাছ ধরছিলো প্রায় ১৫/২০ জন সৌখিন মাছ শিকারী। এ সময় হঠাৎ এক লোকের বড়শিতে তরুণীর লাশ উঠে আসে। এতে এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। লাশ দেখতে হাজার হাজার মানুষের ঢল নামে মসজিদ ঘাটে। পরে জানা যায় সে শিকারীটোলা গ্রামের সমর মদকের মেয়ে প্রীতি। সে নয়াবাজার কলেজের ছাত্রী ছিল। নিহতের চাচাত ভাই দিপক জানান, আমার বোন গতকাল (১৯ নভেম্বর) বিকাল ৫টা থেকে নিখোঁজ ছিলো। আগামী ২৪ নভেম্বর তার বিয়ের কথা ছিলো একই এলাকার অস্থায়ী বাসিন্দা দীপ্ত সরকারের সাথে। কিন্তু বিয়ের দুই দিন আগে তাকে খুঁজে না পেয়ে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ নিচ্ছিলাম আমরা। পাশাপাশি তার প্রেমিক পলাশকে ধরে জিজ্ঞাস করলে তার কাছেও সঠিক তথ্য পাইনি। পরে আজ সকালে বাড়ির কাছেই পুকুর থেকে তার লাশ উদ্ধার হয়। আমাদের ধারণা তার প্রেমিক পলাশই তাকে হত্যা করেছে। পলাশকে এখন খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। সে একই গ্রামে দীর্ঘ দিন ধরে ভাড়া থেকে রাজমিস্ত্রীর কাজ করতো। তার গ্রামের বাড়ি পিরোজপুর জেলার কোন এক গ্রামে। কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাজী মইনুল ইসলাম বলেন, উপজেলার শাক্তা ইউনিয়নের বামনশুর গ্রামের মসজিদের পুকুর থেকে একাদশ শ্রেনীতে পড়ুয়া এক তরুণীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুনেছি আগামী ২৪ নভেম্বর মেয়েটির বিয়ের কথা ছিলো দীপ্ত নামের এক যুবকের সাথে, পাশাপাশি মেয়েটির পলাশ নামে আরেকটি ছেলের সাথেও প্রেমের সম্পর্ক ছিলো। আমরা সব কিছু মাথায় রেখেই ব্যাপারটি দেখছি। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ (মিটফোর্ড) হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। রিপোর্ট পেলে হত্যার কারণ জানা যাবে। এ ব্যাপারে একটি হত্যা মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

আপনি আরও পড়তে পারেন