জগন্নাথপুরে কুশিয়ারা নদীর ভাঙ্গনের কবলে রানীগঞ্জ – হলিকোণা সড়ক

জগন্নাথপুরে কুশিয়ারা নদীর ভাঙ্গনের কবলে রানীগঞ্জ - হলিকোণা সড়ক

মোঃ হুমায়ুন কবীর ফরীদি, জগন্নাথপুর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ

জগন্নাথপুরে কুশিয়ারা নদীর ভাঙ্গনে রানীগঞ্জ – হলিকোণা সড়ক নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ার উপক্রম। এমনকি নদী তীরবর্তী দুই পাড়ের  বসত বাড়ী,মসজিদ, মাদ্রাসা,কৃষি জমি ও কবরস্হান সহ বিভিন্ন স্থাপনা হারিয়ে নিঃস্ব প্রায় বিভিন্ন গ্রামের জনসাধারণ।
 ২১ শে নভেম্বর সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলাধীন রানীগঞ্জ ইউনিয়ন এর অন্তর্ভুক্ত নোয়াগাঁও, ভালিশ্রী ও আলমপুর গ্রামের বৃহত এলাকা কুশিয়ারা নদীর তীরবর্তী হওয়ায় গ্রাম গুলোর অনেকাংশের বাড়ী-ঘর, মসজিদ – মাদ্রাসা, কবরস্থান ও কৃষি জমি সহ বিভিন্ন স্থাপনা ইতিমধ্যে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। যার ফলে নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন গ্রামবাসী। উপজেলার আশারকান্দি ইউনিয়ন থেকে শুরু হওয়া কুশিয়ারা নদী চিলাউড়া-হলদিপুর ইউনিয়ন পর্যন্ত বড় অংশ কুশিয়ারা নদীর তীরবর্তি হওয়ায় নতুন স্থাপনা ও রাস্তা  যে কোন মুহুর্তে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ার আশংকা বিরাজমান। কুশিয়ারা নদীর অভিরাম ভাঙ্গনে দিশেহারা স্থানীয়রা। বিশেষ করে উপজেলার সর্ববৃহৎ প্রাচীনতম ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রানীগঞ্জ বাজার ও হলিকোনা বাজার এর মূল রাস্তা রানীগঞ্জ – হলিকোনা সড়ক সড়ক কুশিয়ারা নদীর ভাঙ্গনের কবলে পড়েছে। দিন দিন সড়কটি নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে। যেকোনো মুহুর্তে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হতে পারে।
এ ব্যাপারে একান্ত আলাপকালে এলাকাবাসী তাদের অভিপ্রায় ব্যক্ত করতে গিয়ে বলেন, সাবেক চেয়ারম্যান মজলুল হকের বাড়ীর সামনে দিয়ে চলে যাওয়া রানীগঞ্জ -হলিকোনা সড়ক  প্রতিদিনই কুশিয়ারা নদীর স্রোতে ভেঙে পড়ছে। যেভাবে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে মনে হয় দু/এক দিন পর এই সড়ক দিয়ে যাতায়াত করা যাবেনা। কুশিয়ারা নদীর অবিরত ভাঙ্গনে ঘর-বাড়ী, মসজিদ – মাদ্রাসা ও কৃষি জমি সহ অনেক কিছু হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়েছি। বিদায় জনসাধারণের জানমালের নিরাপত্তার লক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আকুল আবেদন জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

আপনি আরও পড়তে পারেন