কথায় আছে- ‘চোখের আড়াল মানেই, মনেরও আড়াল’। কিন্তু আসলে কি তাই? আসল-নকল জানার মতো এতো বড় কাজে না যাই। বরং সম্পর্ক টেকাতে আকাশের দিকে তাকিয়ে দীর্ঘশ্বাস না ফেলে বরং প্রেমটা টিকিয়ে রাখার উপায় খুঁজুন।
আপনার হাতেও একটা অস্ত্র আছে। দু’জনের মধ্যে ভৌগোলিক দূরত্বটাকেই কাজে লাগান। দূরত্ব থাকলে যে প্রেমের রস আরো গাঢ় হয়-
যেকোনো সম্পর্কেই সময় দেয়াটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। একটু সময় বের করে ফোন করুন বা ভিডিও কল করুন। তিনি কী বাজার করলেন, তিনি আজ কী করছেন এইসব খুঁটিনাটি প্রশ্নও করুন। স্বাস্থ্যের খোঁজ নিন। তাতে সঙ্গীর কাছে নিজেকে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে হবে।
সঙ্গীর প্রতি নানারকম প্রত্যাশা থাকবেই। তবে খেয়াল রাখবেন সেই প্রত্যাশার চাপ যেন অতিরিক্ত না হয়। এমনকিছু আশা করবেন না, যা তার পক্ষে সম্ভব নয়। অতিরিক্ত প্রত্যাশার কারণেই কিন্তু অনেক সম্পর্ক ভেঙে যায়। তাই বাস্তবতা ও চাহিদার সঠিক সমন্বয় করতে শিখুন। সুখি হবেন।
দূরে থাকে বলে কি তাকে চমক দেয়া যাবে না! এখন অনেক প্রতিষ্ঠানই আপনার হয়ে কাজটি করে দিতে আগ্রহী। তাকে একগুচ্ছ ফুল, বিশেষ কোনো উপহার বা খাবার পাঠিয়ে চমকে দিতে পারেন। এছাড়া না বলে হঠাৎ চলে এসেও তাকে চমকে দিতে পারেন। ছোট ছোট আনন্দের মুহূর্তগুলো ক্যামেরার ফ্রেমে ধরে রাখতে পারেন।
সম্পর্কে ঝগড়া হবেই। কোনোরকম ভুল বোঝাবুঝি বা ঝগড়া হলে চেষ্টা করুন তা দ্রুত মিটিয়ে ফেলতে। কারণ ঝগড়ার কারণে দু’জনেরই মন খারাপ হবে, কাজে মন বসবে না। তাই সমস্যা যত দ্রুত সমাধান করা যায়, ততই ভালো।