নিয়ামতপুরে কর্মবিরতি পালন করছে হেলথ এসিসট্যান্ট এসোসিয়েশন

নিয়ামতপুরে কর্মবিরতি পালন করছে হেলথ এসিসট্যান্ট এসোসিয়েশন
মোঃ জাবেদ আলী নিয়ামতপুর উপজেলা প্রতিনিধিঃ নিয়োগবিধি সংশোধন করে বেতন বৈষম্য নিরসনের দাবিতে দেশব্যাপী স্বাস্থ্য পরিদর্শক, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক ও স্বাস্থ্য সহকারীদের লাগাতার কর্মবিরতি শুরু হয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় নওগাঁর নিয়ামতপুরেও চলছে এই কর্মবিরতি। গত ২৬ নভেম্বর থেকে লাগাতার কর্মবিরতি পালন করছে নিয়ামতপুর উপজেলার স্বাস্থ্য পরিদর্শক, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক ও স্বাস্থ্য সহকারীরা। গত বৃহসপতিবার থেকে এ কর্মবিরতি পালনকালে নিয়ামতপুর উপজেলার নারী ও শিশু টিকা নিতে পারেনি বলে জানা গেছে। এছাড়া স্বাস্থ্য সেবা নিতে আসা রোগীরাও নানা ধরনের ভোগান্তির সম্মুখীন হয়েছেন। ‘ভ্যাকসিন হিরো সম্মান, স্বাস্থ্য সহকারীর অবদান’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে গত বৃহস্পতিবার থেকে সারা দিন ব্যাপি বাংলাদেশ হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্ট এসোসিয়েশন নিয়ামতপুর উপজেলা শাখার স্বাস্থ্য সহকারীরা তাদের দাবি সম্বলিত ব্যানার, পেস্টুন নিয়ে নিয়ামতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করেন। এ সময় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্ট এসোসিয়েশন নিয়ামতপুর উপজেলা শাখার সভাপতি স্বাস্থ্য সহকারী রওসন জামিল, সহ-সভাপতি আলতাফ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মাসুদ রানা, সাংগঠনিক সম্পাদক শওকত আকবর, কোষাধ্যক্ষ মিনহাজ প্রমুখ।
সভাপতি রওসন জামিল তার বক্তৃতায় বলেন, বর্তমানে স্বাস্থ্য পরিদর্শক, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক ও স্বাস্থ্য সহকারী সবাই ১৬তম গ্রেডে বেতন পেয়ে থাকেন। নিয়োগবিধি সংশোধন করে তাদের বেতন যথাক্রমে ১১, ১২ ও ১৩তম গ্রেডে উন্নীত করতে হবে। তিনি আরও বলেন, ‘১৯৯৮ সালের ৬ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের চার দফা দাবি বাস্তবায়নের ঘোষণা দিয়েছিলেন।  ২০১৮ সালের ২ জানুয়ারী মাননীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী দাবি মেনে নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশ দেওয়ার পরও দাবি বাস্তবায়ন হয়নি। তাঁরা বলেন, ২০২০ সালের ২০ ফেব্রুয়ারী হাম-রুবেলা ক্যাম্পেইন-এর কার্যক্রম বর্জন করলে মাননীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী দাবিসমূহ মেনে নিয়ে লিখিত সমঝোতা পত্রে স্বাক্ষর করেন,গত ২০ বছরেও এই দাবি বাস্তবায়ন না হওয়ায় আমরা বাধ্য হয়ে আন্দোলনে নেমেছি।’ দাবি পূরণে প্রজ্ঞাপন না হওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতি অব্যাহত থাকবে । এতে কর্মবিরতিতে  নিয়ামতপুর উপজেলায় কর্মরত স্বাস্থ্য পরিদর্শক ২জন, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক ৪জন এবং স্বাস্থ্য সহকারীসহ ২৬ জন স্বাস্থ্যকর্মী অংশ নেন।

আপনি আরও পড়তে পারেন